রাজশাহী এলাকার একটি গির্জায় প্রবেশ করে এক যুবক উদ্দেশ্যমুলকভাবে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে আসে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ যুবককে চিন্হিত করতে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। আজ রবিবার অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে এমন ঘটনা ঘটায় ঐ ব্যক্তি। তাকে আজ দুপুর ১২টার কাছাকাছি সময়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রে’ফতার করে।
গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম গোলাম চৌধুরী (৩৬)। সে ছোট বনগ্রাম নিউ কলোনীর প্রয়াত কুদ্দুস চৌধুরীর ছেলে।
খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আগে সাম্প্র”/দায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ওই যুবক এমন কাজ করেছে বলে দাবি পুলিশের।
রোববার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ কমিশনার জানান, রোববার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে উত্তম ঘোষ মেষ পালক চার্চের প্রার্থনা এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তি লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি ব্যাগ রেখে যায়। গির্জার সিস্টার শান্তি ব্যাগ দেখতে পেলে, এরপর সন্দেহবশত ব্যাগটি খুলে ভেতরে একটি কোরআন শরিফ দেখতে পান। পরে চার্চ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
আবু কালাম সিদ্দিক আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। এতে দেখায যায় যে, একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সকালে গির্জা ছেড়ে যাচ্ছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ওই যুবক এমন কাজ করেছে। সে নিজেকে যীশু বলেও দাবি করছে। তার দাবী ঈসা (আঃ) কোরান হাতে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। তিনি দাবি করছেন যে যীশু একজন নবী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করছে বলে জানা গেছে এবং পুলিশ জানিয়েছে মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গোলাম চৌধুরী এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, বলে জানা যায়। তার এই কর্মকান্ডের অন্য কেউ সম্পৃক্ত রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।