বাংলাদেশের নারী ফুটবল দিন দিন উন্নতি করছে এর প্রমান মিলেছে গেলো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ এ। বাংলাদেশের নারীরা শিরোপা নিয়ে ফিরেছিল বাড়ি। তবে তার মধ্যেই একজন নারী ফুটবলার দিলেন দুঃসংবাদ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাফজয়ী আনুচিং মোগিনি। রোববার (২২ জানুয়ারি) স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আজকের পর থেকে ফুটবলকে বিদায়।
এর আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) পরিচালিত নারী ফুটবল দলের এলিট ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েন আনুচিং মোগিনি।
এ প্রসঙ্গে চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী এই ফুটবলার বলেন, অনেকদিন ফুটবল খেলেছি। এখন নতুনদের জন্য জায়গা করে নেওয়ার পালা। এখন আমি নতুন কিছু করতে চাই।
অবসরের সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো লজ্জা বা অভিযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুনদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ফুটবল থেকে ভিন্ন কিছু করার কথা ভাবছি, ভাবছি।
নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন জানান, গত ডিসেম্বরে নারী ফুটবল লিগে আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা সব সময় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল তৈরি করি। এবারও তাই হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তাদের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। আর নতুনরা ভালো করছে। এ কারণে তাদের আপাতত বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ভালো করলে শিবিরে ফেরার সুযোগ পাবে তারা।
ক্যাম্পটি ২০১৫ সাল থেকে চলছে। আমরা সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে ভাবি না। যে ভালো পারফর্ম করবে সে দলে থাকবে। দলকে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। ‘
বাফুফের ক্যাম্পে এখন সিনিয়র এবং বয়স ভিত্তিক দলের মোট ৬৭ জন ফুটবলার রয়েছে। ক্যাম্পে এসেছেন চার ফুটবলার। প্রথমবারের মতো বাফস ক্যাম্পে আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাপানি বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া। সদ্য সমাপ্ত মহিলা লিগে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড। এছাড়া সাগরিকাকে অনূর্ধ্ব-১৭ এবং আইরিন আখতার ও আফরোজা আক্তারকে অনূর্ধ্ব-২০ দলে ডাকা হয়েছে।
আনুচিঙ্গার ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে অভিষেক হয়। খাগড়াছড়ির এই মেয়েটি বিভিন্ন বয়সের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে এসেছে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে নারী ফুটবল নিয়ে। বিশেষ করে তার মত একজন খেলোয়াড়কে মূল্যায়ন না করার কারণেই কি তিনি এই সিদ্ধান্ত বেঁচে নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।