অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু আত্মহনন করেছেন নাকি খু”ন হয়েছেন তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েই গিয়েছে। সংক্ষেপে, মৃত্যুর কারণ এখনও একটি রহস্য। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে অভিনেত্রীর কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে (কেউ কেউ বলে জিয়া) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যায় রাফি। অভিনেত্রীর মৃ’ত্যুর পর হিমুর মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। বিবাহিত রাফির সঙ্গে হিমুর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
উত্তরা জোনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অভিনেত্রী হিমু ছিলেন ব্রোকেন ফ্যামিলির। তিনি তার এক পালিত ভাইকে নিয়ে উত্তরার ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার সঙ্গে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই প্রেমিকের সঙ্গে হিমুর দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এর পরই হিমু এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
হিমুর কথিত প্রেমিক রাফির বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি অভিনেত্রীর সহকর্মীরাও তাকে চেনেন না। কারণ হিমু তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা কাউকে বলেননি।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অভিনেতা প্রাণ রায় জানান, প্রেমিক রাফির নাম তিনি কখনও শোনেননি। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
জানা গেছে, রাফি অনলাইন প্লাটফর্ম ভিগো লাইভের সাপোর্টার ছিলেন। এতে হিমুও জড়িত ছিল। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাফি প্রায়ই হিমুর ফ্ল্যাটে যেত। মাঝে মাঝে তারা একসাথে থাকতেন। ঘটনার দিন বিকেল ৩টার দিকে রাফি হিমুর বাসায় যায়। পরে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। তখন হিমুর পালিত ভাই মিহির ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। হিমু ঘরে একাই ছিলেন। এর পর মিহির বের হয়ে দেখেন হিমু ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলছে। রাফি ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানের হ্যাঙ্গারে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছিলেন হুমাইরা হিমু। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।