ভারতীয় বাংলা ধারাবাহিক নাটকের অত্যন্ত খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় চিত্রপরিচালক সুমন দাস। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে একধিক ব্যবসায় সফল ‘ধারাবাহিক’ উপহার দিয়ে জায়গা করে নিয়েছে কোটি মানুষের মনে। এদিকে সম্প্রতি শুরু হয়েছে তার পরিচালিত ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। যা ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
তবে এবার এই ধারাবাহিকের পরিচালক সুমন দাসের ওপরেই উঠল ‘মি টু’ অভিযোগ। মুম্বইয়ের মডেল পূজা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে সুমন দাসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
সুমনের বিরুদ্ধেও ”হ”ত্যা”’র’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুধু পূজা নয়, তার বিপরীতে মুখ খুলেছেন আরও এক মডেল। যার নাম সোমদত্তা মিত্র, তিনি পরিচালকের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ করেছেন। সোমদত্ত বলেন, অভিনয়ের বদলে তিনি সুমন দাসের অন্য কাজ করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় মঞ্চে সুমনের সঙ্গে সোমদত্তের আলাপ। সুমনের ‘জান্নাত’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন সোমদত্ত।
সুমনের দাবি ও পীড়াপীড়িতে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সোমদত্ত জানান, সুমন বারবার তাকে তার বান্ধবী হতে বলে, কিন্তু অভিযোগকারী বারবার সুমনকে বাধা দেয়। কিন্তু পরিচালক শোনেননি। ফোন ব্লক করার পরও সুম’ন ‘ম’দ্য’প’ অ’ব’স্থায় এসে তাকে গালিগালাজ করে। তিনি অভিনেত্রীর বাবাকেও বার্তা পাঠান এবং বিভিন্ন ‘অ’শ্লী”ল ‘ভা’ষা ‘ব্য’বহা’র করেন। অ’ব’শেষে তিনি শহর ছাড়তে বাধ্য হন।
অন্যদিকে, ২০১৭ সালে, পূজার সাথে সুমনের কথোপকথন হয়েছিল। তবে এবার বেপরোয়া হননি পরিচালক। তবে পূজার দাবি, সুমন তাকে ফ্ল্যাটের ভেতরে ”’ধ”র্ষ”’ণ” ও ”হ”’ত্যা”র” চে’ষ্টা করেছিল। পরিচালক তাকে ফ্ল্যাটে আ’ট’কে রা’খার চেষ্টাও করেন।
কিন্তু পূজা উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে নিজেকে ফ্ল্যাটের বাথরুমে তালা দিয়ে ধস্তাধস্তি করে। অবশেষে পরিচালকের প্রতিবেশী এসে রক্ষা করেন পূজাকে। ফেসবুক লাইভে এসব ঘটনা বলেন পূজা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে পরিচালকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের পরপরই রীতিমতো গোটা বিনোদন অঙ্গনজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এতো খ্যাতিমান পরিচালক হয়েও তিনি এমনটা করতে পারেন, তা যেন কল্পনাও করতে পারেননি কেউ।