মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন একমাত্র বাঙালি অভিনেতা যিনি ৮০ এবং ৯০ এর দশকে বলিউডে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তার চেহারা, অভিনয় দক্ষতা, নাচ ভক্তদের হৃদয়ে একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে। যদিও রুপালি পর্দা থেকে নিজেকে অনেকটাই দূরে রেখেছেন তিনি। তবে অভিনেতার ফ্যান ফলোয়িং একটুও কমেনি। তাকে রুপালি পর্দায় দেখলে ভক্তরা এখনও পাগল হয়ে যান।
মিঠুন চক্রবর্তী সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি। বলিউডে তখন পায়ের তলায় জমি নেই, সব কিছুর লড়াই। মাঝে মাঝে মনে হতো আমি আর বুঝি পারবো না, হাল ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি অনেকবার আত্মহননের কথাও ভেবেছি। তবুও দিনশেষে সে একজন যোদ্ধা। জয়ের ক্ষুধা ছিল তার রক্তে। ১৯৭৬ সালে অভিষেক মিঠুনের ‘মৃগয়া’ ছবিতে অভিনয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে প্রাথমিকভাবে সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হন। ঝুলির ‘ডিস্কো ডান্সার’, নিরাপত্তা, সাহস, ওয়ারদাত’, ওয়ান্টেড’, ‘বক্সার’, ‘জল্লাদ’ এবং ‘অগ্নিপথ’-এর মতো ছবি রয়েছে। তাহাদের কথা’ (১৯৯২) এবং ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ (১৯৯৮) তাকে আরও দুটি জাতীয় সম্মান এনে দেয়। দিল্লি-ভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে, মিঠুন তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ফিরে যান। আমি সাধারণত এটি সম্পর্কে খুব বেশি কথা বলি না, তিনি বলেছিলেন।
আমি উল্লেখ করতে চাই এমন কোন নির্দিষ্ট পর্ব নেই। যেহেতু সবাই সংগ্রাম করে, আমার নিজেকে আলাদা করার কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমার সংগ্রাম ছিল অন্তহীন। মাঝে মাঝে ভাবতাম, পারবো? এমনকি ব্যর্থতার ভয়ে আত্মহনন করার কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন এই বয়সে আমি আপনাদের পরামর্শ দেব, যুদ্ধ না করে জীবন শেষ করার কথা ভাববেন না। আমি লড়াই ছেড়ে দেইনি। দেখেন আজ আমি কোথায় দাঁড়িয়ে আছি। সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে মিঠুনের ছবি শীঘ্রই মুক্তি পাবে। নতুন ছবি নিয়ে মিঠুন বলেন, এটা নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে বাস্তবতাকে নথিভুক্ত করে এমন চলচ্চিত্রে আমি বেশি আগ্রহী। তবে হ্যাঁ, এই ছবিটি উত্তেজনাপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মিঠুনকে শেষ দেখা গিয়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীর ফাইলে। ছবিটি মুক্তির দুই সপ্তাহের মধ্যে বক্স অফিসে ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। পরবর্তী ছবি নিয়েও একইভাবে আশাবাদী মিঠুন।
উল্লেখ্য, মিঠুনকে শেষবার দ্য কাশ্মীর ফাইলে দেখা গিয়েছিল এবং ভক্তরা তাকে পছন্দ করেছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তী শোবিজ জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি তার কাজের মাধ্যমে এক অনন্য জনপ্রিয়তার শির্ষে নিজেকে অবস্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু তার শুরুটা ছিল অনেক কঠিন, এমনকি তার সেই কঠিন সময়ে অনেকবার ব্যার্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে আত্মহননের কথাও ভেবেছিলেন তিনি।