জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা ড্যানি মাস্টারসনকে লস অ্যাঞ্জেলসের উচ্চ আদালত ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। দুই নারীকে ”ধ””র্ষ”ণে”র দায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লস অ্যাঞ্জেলসের উচ্চ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকান অভিনেতা ড্যানির বিরুদ্ধে আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ৩ জন নারী।
এই তিন নারীর অভিযোগের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার আদালতে দুই নারী’র ”ধ”র্ষ”’ণে”’র”’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটির প্রতিবেদন বলছে, ড্যানি কাজের অজুহাতে ২৩ বছর বয়সী এক মহিলাকে তার হলিউড হিলসের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর ড্যানি ওই নারীকে জোরপূর্বক খারাপ কাজের লিপ্ত করেন। ২০০৩ সালে এমন ঘটনার পর একই বছর ২৮ বছর বয়সী আরেক নারীকে একইভাবে খারাপ করেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে এই দুই নারীর অভিযোগের শেষ শুনানি হয়। বিচারক শার্লিন ওমেডো গত বৃহস্পতিবার ড্যানিকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং আদালতে দুই নারীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
অন্য একজন মহিলা যিনি ড্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি ড্যানির প্রেমিকা। তাই তার অভিযোগ এখনো আদালতে প্রমাণিত হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই নারীর সঙ্গে অসামাজিক কাজ করেন ড্যানি।
কারণ হিসেবে ওই নারীর উকিল বলেছেন, ড্যানির প্রেমিকার ২০০১ সালে বয়স ছিল ২৩ বছর। তখন তিনি ধর্ষিত হন। প্রমাণ হওয়া দুই নারীর সঙ্গে ঘটনা ঘটে ২০০৩ সালে। অর্থাৎ ঠিক দুই বছর আগে। হতে পারে প্রেমের ফাঁদে ফেলেই প্রথম শিকার ধরেছিলেন তিনি। একদিন এই মামলায়ও ড্যানি দোষী সাব্যস্ত হবেন বলে আশাবাদী অভিযোগকারীর উকিল।
এদিকে শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ড্যানি মাস্টারসন।