দেশে প্রতারণার যেন কোন শেষ নেই প্রতারক চক্র প্রতিনিয়ত ও বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যায় তাদের প্রতারণার কার্য সম্পাদন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের এই প্রতারণার কর্মকাণ্ড তারা চালিয়ে আসছে এবং কিভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নেয়া যায় সে ব্যাপারে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করছে তারা প্রতিনিয়ত
কৌশলে প্রবাসীদের ইমো নম্বর সংগ্রহ। তারপর তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে’ যোগাযোগ। অবস্থা বুঝে সেই ইমো নম্বর হ্যাকড। এরপর অভিনব পন্থায় হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। এমনই একটি চ’ক্র ধরা পড়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জা’লে। প্রতারিত হওয়া ঢাকার এক ব্যক্তির মামলা তদ’ন্ত করতে গিয়ে চ’ক্রটির সন্ধা’ন মেলে। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রা’ইম ইনভেস্টিগেশন টিম অভিযান চালিয়ে চ’ক্রের দুই সদস্যকে গ্রে’ফতার করে।
গ্রে’ফতার দুজন হলেন- পলাশ আলী ও সাব্বির হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ডিএমপির গোয়ে’ন্দা বিভাগের (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুনায়েদ আলম সরকার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই চ’ক্রটির প্রধান টা’র্গেট প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বেশি ইমো ব্যবহার করে থাকেন। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে প্র’তার’ণা করে আসছে চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, অভিনব কৌশলে প্রবাসী ব্য’ক্তি অথবা তার পরিবারের সদস্যদের ইমো আইডি হ্যা’ক করার জন্য একটি কোড এসএমএস করে প্র’তারক’রা। পরে নানা কৌশলে তারা ওই কো’ড জেনে আইডি হ্যা’ক করে। এরপর অ’সুস্থতাসহ নানা বি’পদের কথা বলে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আ’ত্মসা’ৎ করে আসছিল চ’ক্রটি।
গোয়ে’ন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রে’ফতার প্র’তারক চ’ক্রের সদস্য সাব্বির হোসেন তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মোবাইল নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে পলাশ আলীকে দেন। পলাশ নানাভাবে ইমো হ্যা’ক করে ব্যবহারকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে আত্মীয়-স্বজনের বিপদ বা অ’সুস্থের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হা’তিয়ে নেন।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রে’ফতার পলাশের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আগে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এখন সব ছেড়ে প্র’তার’ণা শুরু করেছেন। আর সাব্বিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। পেশা ছা’ত্র হলেও ২০১৮ সাল থেকে প্র’তার’ণা করে আসছিলেন তারা।
ইমো হ্যা’ক ও এ ধরনের প্র’তারণা থেকে বাঁচতে নানা পরামর্শ দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটু সচে’তন হলেই এ ধরনের প্র’তার’ণা হাত থেকে বাঁচতে পারি। কোনো ধরনের ওটিপি বা কোড অপরিচিতি বা পরিচিত কারো সঙ্গে শেয়ার না করা। আত্মীয়-স্বজনরা ইমোতে বি’পদের কথা বলে টাকা চাইলে যাচাই-বাছাই করা উচিত । আপনার ইমো অ্যাকাউন্টটি অন্য কেউ ব্যবহার করছে কি-না সেটি যাচাইয়ের জন্য ইমো সিটিংসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশনে ম্যানেজ ডি’ভাইসে ক্লিক করলেই জানতে পারবেন।
এবার প্রতারণার এই খপ্পর থেকে বাদ যাচ্ছে না প্রবাসীরা দেশে বসেই প্রবাসীদের বোকা বানাচ্ছে এই প্রতারকরা বিভিন্ন কায়দায় তাদের সোশ্যাল একাউন্ট হ্যাক করে তারা অর্থ লুটে নিচ্ছে এসকল প্রতারকদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে