Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / অভিনব কৌশলে দিনে নারী এবং রাতে পুরুষ সেজে প্রতারনা আব্দুল মান্নানের

অভিনব কৌশলে দিনে নারী এবং রাতে পুরুষ সেজে প্রতারনা আব্দুল মান্নানের

সমাজে এক শ্রেনির মানুষ রয়েছে যারা কিনা নানা কৌশলে বিভিন্ন পণ্থা অবলম্বন করে সাধারন মানুষদের ঠকিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমানের অর্থ। প্রায় সময় এমন অনেক প্রতারক চক্রের অনিয়মের কর্মকান্ড গুলো প্রকাশ্যে উঠে আসছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সম্প্রতি এমনকি এক প্রতারকের অনিয়মের কৃীতি উঠে এসেছে। দিনে নারী এবং রাতে পুরুষ সেজে দীর্ঘ দিন ধরে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালান করে আসছে মো. আব্দুল মান্নান।

কামরাঙ্গীরচরে বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী মো. আব্দুল মান্নান। দীর্ঘদিন নারী পরিচয়ে করিবাজি করে আসছিলেন কামরাঙ্গীরচরের খলিফা ঘাট এলাকায়। দেড় বছর এক কিশোরীক নি/র্যা/তন করার পরে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। নির্যা/ত/নের বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা মামলা করলে গ্রে/ফ/তার করা হয় আব্দুল মান্নানকে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরর মা নি/র্যা/ত/নের অভিযোগে চলতি বছরের ১৫ই জুলাই মামলা দায়ের করেন কামরাঙ্গীরচর থানায়। দীর্ঘদিন ধরে তারা নূরবাগ পুরাতন পু/লি/শ ফাঁড়ির পেছনে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। হঠাৎ একদিন কিশোরীর নানী মা/রা যাওয়ার পর কিশোরগঞ্জে লা/শ দেখে সে ভ/য় পায়। এরপর থেকে তার আচারণ ছিল অস্বাভাবিক। ঢাকায় আসার পরে ওই কিশোরীকে আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল মান্নানের কাছে নিয়ে যাই। যদিও আগে থেকেই মামলার বাদি মান্নাকে নারী হিসেবে জানতেন। এমনকি প্রতিবেশিরাও তাকে নারী বলে পরিচয় করিয়ে দেন।

ভন্ড কবিরাজ জানায় কিশোরীকে জিনে ধরেছে। জিন ছাড়াতে হলে প্রতি মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে তার কাছে রেখে যাওয়ার কথা বলেন। মান্নানের এমন কথায় ওই কিশোরীকে সেখানে রেখে চলে আসেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন সকালে কিশোরীর শরিরে আঁচড়ের দাগ দেখা গেলে রাতে জিনে আঁচড় দিয়েছে বলে জানানো হয়। এভাবে দেড় বছর কিশোরীকে নি/র্যা/ত/ন করা হয়। এরই মাঝে কিশোরীকে মা বলে সন্বোধন করতে বলা হয়। এভাবে তাদের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের জুন মাসে ওই কিশোরীকে বিয়ের জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারা সবাই মিলে একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলে তাকে শারীরিকভাবে নি/র্যা/ত/নে/র চেষ্টা করলে বিষয়টি তার বোন মুক্তা টের পেয়ে যান। অভিযোগটি অনুসন্ধান শেষে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পু/লি/শ। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয় বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার ইন্সপেক্টর সিকদার মহিতুল আলম। ভন্ড এই কবিরাজ এখন নিজেকে তৃতীয় লি/ঙ্গে/র মানুষ দাবি করছেন। অথচ এর আগে সে পুরুষ দাবি করে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছে বলে অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেন। সে সময় তাকে পুরুষের মতোই পোশাকে দেখা গেছে। এখন দ্রুতই লিঙ্গ নির্ধারনের পরীক্ষা শেষে মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।

নারী কান্ডে প্রকাশ্যে উঠে এসেছে ভন্ড কবিরাজ মো. আব্দুল মান্নান অপরাধ কর্মকান্ড। এবং তিনি নিজেকে তৃতীয় লি/ঙ্গে/র বলে দাবি করেছে। এদিকে এই বিষয়টির তদন্ত কার্য পরিচালান করছে কামরাঙ্গীরচর থানার ইন্সপেক্টর সিকদার মহিতুল আলম।

About

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *