পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রায় সময় অভিযোগ উঠে আসে কিছু অসাধু কর্মকর্তা নানা রকম অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হন। এমনকি কিছু অসাধু কর্মকর্তা অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে এমন অভিযোগ উঠে আসে। এবার পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে যে তিনি অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। আর এই অভিযোগে তাকে ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গো’প’ন রাখার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন আদালত।
আজ রবিবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত শুনানি শেষে এই রায় দেন। আদালতের দুর্নীতি দমন কমিশনের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন দুই আসামি আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, গত ৩০ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মোতালেব হোসেন ও তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক প্রায় সময় নানা রকম অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। তেমনি এই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তার সকল সম্পত্তির সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। তবে তিনি তার বেশ কিছু সম্পদ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেননি বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে তাকে ও তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।