দেশে অবিবাহিত মানুষের হার সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে। এ বিভাগের প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৪ দশমিক ৯১ শতাংশ নারী এখনো বিয়ে করেননি।
চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ বিভাগের ৫৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এখনো বিয়ে করেননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (এসভিআরএস) প্রতিবেদন ২০২২’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রাজশাহী বিভাগে একক সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই বিভাগের 43.01 শতাংশ পুরুষ এখনও অবিবাহিত। রাজশাহীর পর অবিবাহিত পুরুষের হার সবচেয়ে কম খুলনা ও রংপুরে। তবে অবিবাহিত নারীর হার খুলনা বিভাগে সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বর্তমানে ৪৯.৯৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩.২৯ শতাংশ নারী বিবাহিত।
এবং মোট জনসংখ্যার 72 মিলিয়নেরও বেশি বিবাহের বাইরে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৮.৪৯ শতাংশ এবং নারী ৩৬.৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশে সরকারিভাবে বিয়ের বয়স পুরুষদের জন্য 21 বছর এবং মহিলাদের জন্য 18 বছর। তবে বিবিএসের সমীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে বিয়ের গড় বয়স ২৫ বছর। সে অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৪১ হাজার অবিবাহিত নারী-পুরুষ বিবাহযোগ্য প্রাপ্তবয়স্ক।
এর মধ্যে বিবাহযোগ্য পুরুষ ২ কোটি ৯ লাখ ৩৮ হাজার, যার বিপরীতে নারী মাত্র ৫৩ লাখ ৩ হাজার। অর্থাৎ বিবাহযোগ্য পাত্রীর তুলনায় ১ কোটি ৫৬ লাখের বেশি পুরুষ অবিবাহিত।
বয়সভিত্তিক অবিবাহিতদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে পঞ্চাশের বেশি নারী-পুরুষের সংখ্যা ২৮ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৬ জন। ১ কোটি ৫১ লাখ ৭৮ হাজার ৩১২ জন পুরুষের মধ্যে ৫ লাখ ২২ হাজার ১৩৩ জন অবিবাহিত। বিপরীতে, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৭ হাজার নারীর মধ্যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৮ জন কখনও বিয়ে করেননি। পঞ্চাশের বেশি নারীদের মধ্যে এই হার প্রায় দেড় শতাংশ।
বাংলাদেশে সাধারণত ৫০ বছরের উপরে বিয়ের হার খুবই কম। যেমন, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যারা ৫০ বছর বয়সের পর বিয়ে করেন না, তারা সারা জীবন অবিবাহিত থাকেন। এদের বলা হয় চিরকুমার বা চিরকুমারী। সে হিসেবে দেশে চিরকুমার ও চিরকুমারীর সংখ্যা ৭ লাখ ১১ হাজার ৮৩১ জন।