এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাংলা বড় পর্দার অন্যতম খ্যাতিমান দুই তারকা শাকিব খান ও শবনম ইয়াসমিন বুবলি। গত কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বেবি বাম্পের ছবি দিয়ে আলোচনার জন্ম দেন বুবলি। তিনি কাকে বিয়ে করেছেন, কেই বা তার সন্তানের বাবা?
দীর্ঘদিন ধরে আইজিপি হিসেবে অত্যন্ত সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালনের পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এই চাকরি থেকে অবসরে নেন বেনজীর আহমেদ। আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতি দমনে নানা ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তবে অবসরের একদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন তিনি।
ফেসবুকে তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ আমাকে যে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, তার কোনো প্রতিদান দেওয়ার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই।
ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে যা বললেন বেনজীর আহমেদ
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কর্মজীবনের শেষ দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে আইজিপির দায়িত্ব হস্তান্তরের পর রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
পড়াশোনা শেষ করে যে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম বাংলাদেশের আইজিপি হিসেবে আজকে তার যবনিকাপাত হলো।
পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ও প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় আমার ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ তিন পদে দায়িত্ব পালনের দুর্লভ সুযোগ হয়েছে।
প্রতিটি পদে কর্তব্যপালনের সময় আমি আমার সহকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম এবং পেশার প্রতি কঠোর আনুগত্য দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি।
দায়িত্ব পালনকালে চেনা-অচেনা , পরিচিত-অপরিচিত দেশের সাধারণ মানুষ আমাকে যে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, তার কোনো প্রতিদান দেওয়ার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই।
চাকরির শুরুকাল থেকে আজ পর্যন্ত আমার প্রতিটি সহকর্মীর কাছ থেকে আমি যে সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য তাদের প্রত্যকের কাছে আমার অনেক ঋণ।
শিখেছি সবার কাছ থেকে। জ্যেষ্ঠ, সতীর্থ, অনুজ বিশেষ করে তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে আজ স্মরণ করতে চাই, যারা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ‘মেইকিং অব অ্যা বেনজীর’ এর লক্ষ্যে ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রেখেছেন। সেইসঙ্গে পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধব।
আরও কৃতজ্ঞতা সব সহকর্মীদের কাছে যারা আমার নির্দেশে জনগণ, দেশ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছেন।
দেশের গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ হোক। আগামীর প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিতে যাক দেশ। প্রিয় মাতৃভূমিকে অভিবাদন।
দায়িত্ব পালনকালে সকলেই দেখেছেন, তিনি কিভাবে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে অপরাধীদের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। কখনো কখনো আহত হতে হয়েছে নিজেকেও। তবে এরপরও পিছু হটেননি তিনি। দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবে সর্বদা কাজ চালিয়ে গেছেন তিনি।