বর্তমান সময়ে পরকীয়া সম্পর্কের প্রবনতা ব্যপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সমাজে। অবশ্যে এই সম্পর্ক সমাজিক ব্যাধীতে পরিনত হয়েছে। এমনকি এই সম্পর্কের জের ধরে নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড ঘটছে। এবং নানা ধরনের অনিয়মের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের এমনি এক পরকীয়ার সম্পর্কের ঘটনা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। এমনকি রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ২ গৃহবধূ নিজেরাই জানালেন বিস্তারিত।
পশ্চিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দায় রাজমিস্ত্রি প্রেমিকদের হাত ধরে দুই গৃহবধূর ঘর ছাড়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বুধবার ভোরে আসানসোল স্টেশন থেকে সন্তানসহ নিখোঁজ দুই গৃহবধূ এবং তাদের দুই প্রেমিককে আ/ট/কের পর ঘটনা পরিষ্কার হয় সবার কাছে। পু/লি/শি জেরায় ওই দুই গৃহবধূ জানিয়েছেন, কেন তারা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার, তার জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ। জানা গেছে, অনন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। তার জা রিয়া বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাসের সঙ্গে। কিন্তু কেন? সে কথা পু/লি/শকে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া।
অনন্যা পু/লি/শকে জানিয়েছেন, আট বছর বিয়ে হলেও সন্তান হয়নি তার। কাজে ব্যস্ত স্বামী বেশি সময়ও দিতে পারতেন না তাকে। সব মিলিয়ে সংসার জীবনে একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল। একই সমস্যা তার জা রিয়ারও। ১০ আগে বিয়ে হওয়া রিয়ার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে না পারাতেই বিরক্তি তৈরি হয়েছিল তার মনেও। এরকম অবস্থাতে রাজমিস্ত্রি শেখর এবং শুভজিতের সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। শেখর এবং শুভজিৎ দু’জনেই মিষ্টভাষী ছিলেন। দুই রাজমিস্ত্রি সহজে সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন বলে পু/লি/শে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া। এই গুণের জন্য দুই রাজমিস্ত্রি অল্প সময়ে মন জয় করে নেন কর্মকার পরিবারের গৃহবধূদের। ক্রমে তাদের আলাপ গাঢ় হয়। এরপরই তারা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে একাধিকবার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ২ বধূকে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা লেগেছিল। পু/লি/শ সূত্র বলছে, নিশ্চিন্দার আনন্দনগরে কর্মকার পরিবারের বাড়িটি নির্মিয়মান। দোতলা বাড়িটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই বাড়ির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন ২ রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর। মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা সুভাষের সঙ্গে প্রথমে বড় বউ অনন্যা কর্মকারের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে অনন্যার কাছে ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই বাড়ি ছাড়ার আগে তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে যান ওই যুবক। সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই রাজমিস্ত্রি। এরপর ধীরে ধীরে আরেক রাজমিস্ত্রি শেখরের সঙ্গে ছোট বউ রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই পরকীয়া সম্পর্ক বিদ্যমান। তবে বর্তমান সময়ে জনসংখ্যার মাপকাঠিতে ভারতে এমন ঘটনা বেশি ঘটছে। এবং প্রায় সময় এই ঘটনা গিলো বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই মারাত্মক ব্যাধী থেকে উত্তরনের জন্য প্রত্যেক নারী-পুরুষ উভয়কেই সচেতনতা গ্রহন করার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। মূলত এই এক অপরাধের মধ্যে দিয়েই শত শত অপরাধ ঘটছে প্রতিনিয়ত।