মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে খারাপ কাজের অভিযোগে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মোশতাক আহমেদ। এ সময় মোশতাকের সঙ্গে ওই ছাত্রীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মোকলেছুর রহমান বিষয়টি জানান।
এদিন মোশতাক ছাত্রীসহ আদালতে হাজির হন। এরপর তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকার জামিনে স্থায়ী জামিন দেন। এরপর মোশতাক ও মেয়েটি চলে যায়।
এর আগে গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই তরুণীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত তার বক্তব্য গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগ প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এ মামলার অপর আসামি অধ্যক্ষ ফওজিয়া রাশেদী।
মামলার আরজি জানায়, ভিকটিম মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত মোশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে এসে ভিকটিমকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিয়ে আসত। খোঁজখবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো।
কয়েকদিন পর অভিযুক্ত মোশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌ”/ ন হয়রানি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক বিয়ে করে তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ ধরনের আচরণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী। প্রিন্সিপাল ব্যবস্থা নেওয়ার পর অভিযুক্তকে তার কক্ষে নিয়ে যান এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে নিয়ে যাওয়ার পর রুমের দরজা বন্ধ করে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। বরং অভিযুক্তরা মোশতাককে অনৈতিকভাবে সাহায্য করতে থাকে।
১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ে তার বাড়িতে নিয়ে গেলে অভিযুক্ত মোশতাক তার লোকজনসহ তাকে অপহরণ করে। এরপর বাদী জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে এবং যৌ”/ ন হয়রানি করে।