যেখানে শোবিজ অন্গনের তারকারা বলিউডে নিজেকে একটি ভালো অবস্থানে নেওয়া এবং টিকে থাকার জন্য দিনরাত নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন, সেখানে বলিউড অভিনেত্রী সানা খান তার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমে পাওয়া গোছানো ক্যারিয়ার থেকে অনেকটা হঠাৎ করে বিদায় জানিয়ে দেন। প্রকৃতপক্ষে এই সুদর্শিনী অভিনেত্রী নিজেকে ইসলামে সমর্পণ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
২০২০ সালের অক্টোবরে, অভিনেত্রী সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানান। সে সময় সানা খান একটি ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন যে, খ্যাতি, নাম এবং অর্থ সবকিছুই তার অতীত জীবনে ছিল। কোন কিছুরই অভাব ছিল না। তিনি আরও বলেন, তিনি যা চেয়েছেন সব কিছুই করতে পেরেছেন। কিন্তু এত কিছু থাকা সত্ত্বেও তার মতে একটা জিনিসের অভাব ছিল তার মধ্যে। হারিয়ে যাওয়া জিনিসটি হল ‘শান্তি’। তখন সানার মনে শান্তি ছিল না।
সময়টা ২০১৯ সালের রমজান মাস। সানা খুব অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার কারণে সে সময় বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন তিনি। তখন তিনি একটি জ্বলন্ত কবরের স্বপ্ন দেখলেন। সানা মুত্তাবিফি হুজ্জাজ ‘দক্ষিণ এশিয়ার’ সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘আমি স্বপ্নে নিজেকে জ্বলন্ত কবরে পুড়তে দেখতাম। এই স্বপ্নটি আমার কাছে একটি বিশেষ বার্তার মতো মনে হয়েছিল।’ এরপর গ্ল্যামার জগত ছেড়ে চলে যান তিনি। ধর্মের পথে আত্মনিয়োগ করেন।
বলিউড ছেড়ে ধর্মে মনোনিবেশ করার পর, তিনি গুজরাটের একজন ব্যবসায়ী মুফতি আনাসকে বিয়ে করেন। এ বছর স্বামীর সঙ্গে জীবনে প্রথম হজ পালন করছেন তিনি।
সানা খান সোশ্যাল মিডিয়ায় আরাফাত ময়দান থেকে একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখন আরাফায় আছি। এখান থেকে খোলা ময়দানে গেলে যে অনুভূতি হবে তা বর্ণনাতীত। আল্লাহ তার রহমত দেখিয়ে তিনি আমাদেরকে হজের জন্য মনোনীত করেছেন, আমাদের উচিত বেশি বেশি দোয়া করা এবং আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
সাবেক এই অভিনেত্রী আরও বলেন, যারা এ বছর হজ করতে পারছেন না তারা বেশি বেশি দোয়া করবেন, কারণ আল্লাহ তায়ালা সবার দোয়া শোনেন। আগামী বছরও হজ করতে পারবেন।
সাবেক এই বলিউড অভিনেত্রী নিজেকে ধর্মের প্রতি মনোনিবেশ করিয়ে শান্তি লাভ করেছেন। এই অভিনেত্রী কোনভাবে আর ধর্মের পথ থেকে সরে গিয়ে নিজেকে অন্য কিছুর সাথে যুক্ত করবেন না, এমনটি জানান। তিনি স্বামী আনাস এর সাথে বেশ সুখে সংসার করছেন এমনটিই জানিয়েছেন।