প্রায় দুই বছর ধরে দেশে বাহিরে ছিলেন অভিনেতা কেআরকে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে টের পেয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। তবে দুই বছর পলাতক থেকেও শেষ রক্ষা হলো না কেআরকের। অবশেষে দেশে পাড়াদিতেই পুলিশের কাছে আটক হলেন তিনি।
অভিনেতা, প্রযোজক এবং স্বঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক কামাল রশিদ খান (কেআরকে) মঙ্গলবার সকালে (30 আগস্ট) মুম্বাই আসার পরপরই মালাদ থানা তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বিকেলে তাকে বরিভালি আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিনেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কেআরকে-র বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে কান্দিভালি এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে কী কারণে গ্রেফতার হলেন কেআরকে? 2020 সালে, রিপোর্ট করা হয়েছিল যে কেআরকে প্রয়াত কিংবদন্তি ঋষি কাপুর এবং প্রবীণ অভিনেতা ইরফান খানের নামে কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুই বছর আগে কেআরকে দুটি পৃথক টুইট করেছিলেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ঋষি কাপুর এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি। একটা কথা বলতে চাই স্যার ভালো থাকবেন। আবার মদের দোকান খুলছে।”
দ্বিতীয় টুইটে তিনি দাবি করেছেন যে ইরফান এবং ঋষি করোনার সময় মারা যাবেন, যা তিনি আগে থেকেই জানতেন। এই দুই বিস্ফোরক পোস্টে স্বভাবতই কটূক্তি করা হয় দুই অভিনেতাকে। এই কারণে, সেই মন্তব্যের পরে IPC ধারা 294-এর অধীনে KRK-এর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল।
তিনি মানহানি অনের বিরুদ্ধে করুচি পূর্ন মন্তব্য ও অহেতুক ভয় দেখানোর জন্য দোষি সাব্যস্থ হয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তবে জেল যাওয়ার পরে ভয়ে বুকে হটাৎ ব্যাথা উঠে তার। এরপর তাকে জরুরী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তার অবস্থা মুটা মুটি সাভাবিক রয়েছে। তবে হাসপাতাল থেকে তাকে এখনো রিলিজ দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলেই তার বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।