আইন-শ্রিঙ্খলা রক্ষার কাজে দিন রাত পরিশ্রম করে পুলিশ। অনেক সময় অপরাধিকে ধরতে গিয়ে তাদের সাথে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। সম্প্রতি এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার ( Netrokona ) এক ট্রাফিক পুলিশের সাথে। ঘটনা সূত্র জানা যায়, অনিবন্ধিত মোটরসাইকেলসহ ধরার পর আঙুল কামড়ে পুলিশ কনস্টেবলকে জখম করে পালিয়ে যায় এক যুবক। তবে সে বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারেনি। পুলিশকে কামড়ে পালিয়ে যাওয়া সেই পুনরায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে ওই আসামির নাম সুলতান।
শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ ( Sunamganj )ের তাহিরপুর থানা থেকে তাকে নেত্রকোনার ( Netrokona ) কলমাকান্দা পুলিশের ( police ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুলতান মিয়া ( Sultan Mia ) সুনামগঞ্জ ( Sunamganj )ের তাহিরপুরের নাগরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ( King Mia ) ছেলে। শুক্রবার রাতে ( Friday night ) ( night ) সুনামগঞ্জ ( Sunamganj ) জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নেত্রকোনা কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান যুগান্তরকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কলমাকান্দা থানার বিষর্পাশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টহল দল পাঁচগাঁও সীমান্ত সড়কে সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীকে তল্লাশি করতে যায়। একই দিন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নাগরপুর গ্রামের সুলতান মিয়াকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ১০০ সিসির মোটরসাইকেলসহ আটক করে পুলিশ।
তল্লাশি দলে থাকা সাখাওয়াত হোসেন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের আঙুল কামড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন সুলতান। বৃহস্পতিবার বিশারপাশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে সুলতানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সুলতানকে গ্রেপ্তারে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করতে বলা হলে তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শুক্রবার সকালে সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সুলতানকে আবারও গ্রেফতার করে সোহেল রানা।
অনডিউটি পুলিশের গায়ে হাত ও লাইসেন্স বিহিন গাড়ি চালানো এছাড়া ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি মামলায় তাকে জেল হাজতে প্ররন করা হয়েছ। এছাড়া তারা কাছে ওই সময় কোন অবৈধ মালামাল ছিলো বলেও ধারনা করছে পুলিশ। তদের দাবি ওই সময় তার কাছে মা//দক বা বেআইনি কোন পন্য থাকতে পারে জার জন্য আসামি নিজেকে রক্ষা করতে পুলিশকে কামড়ে পালিয়ে যায়।