বিয়ের পরেই অনেকের ইচ্ছা থাকে স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে কোথায় ঘুরতে যাবে । তবে হানিমুনে ঘুরতে যাওয়াই কাল হলো প্রবাসী স্বামীর। স্ত্রীর পূর্বের প্রেমিককে দিয়ে গনপিটুনী স্বামীকে। শুধু তাই নয় সেই প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন নববধূ। তবে শেষ পর্যন্ত রেহাই পেল না সেই স্ত্রী।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হানিমুন করতে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া কনেকে তার প্রেমিকসহ আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালতলী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াত হোসেন তপু। তিনি জানান, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে স্বামীকে মারধর করে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া কনেকে তার প্রেমিকসহ আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী মনিরুল বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা করেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বরগুনার মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক প্রবাসী স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গিয়েছিলেন। একই দিন রাত ১১টার দিকে স্ত্রী নুর জান্নাত লুলি ও তার প্রেমিক নোমান মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। এরপর নুরে জান্নাত তার প্রেমিক নোমানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। মনির বাদী হয়ে পটুয়াখালীর মহিপুর থানায় মামলা করেন। প্রেমিক নোমান (২৪) বরগুনার তালতলীর মাউপাড়া এলাকার আলাল হাওলাদারের ছেলে।
এরপর সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আগাপাড়া গ্রামের নোমানের শ্যালক হাসান পাড়ের বাড়ি থেকে লুলি ও তার প্রেমিক নোমানকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের জানান, বুধবার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে স্বামীকে মারধর করে এক নববধূ তার প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ গিয়ে ভিকটিম মনিরুলকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মনিরুল বাদী হয়ে মহিপুর থানায় মামলা করেন। সোমবার দুপুরে বর ও তার প্রেমিককে আটক করে তালতলী থানা পুলিশ আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে।
সেই প্রেমিক ও স্ত্রী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। খুব দ্রুত থানার সকল কার্যক্রম শেষে তাদেরকে আদালতে বিচারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। নিজের বিয়ে করায় স্ত্রীকে আবারো ঘরে ফিরিয়ে নিতে চায় কিনা মনিরুল এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি গণমাধ্যমের কাছে।