২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটিকে জিম্মি করার ৮ দিন পর অবশেষে মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালি জলদস্যুরা।
বুধবার (২০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
দুপুর ২টার দিকে জলদস্যুরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। .
জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করেছে নাকি কী হয়েছে জানতে চাইলে মিজানুল ইসলাম এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এখন যোগাযোগ শুরু হওয়ায় জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হলে জাহাজ ও নাবিকদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) থেকে তথ্য নিয়ে জিম্মি জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমালিয়ার উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুরা জাহাজটিকে নোঙর করেছে এবং জাহাজটি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছে। এটি এখন দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে। প্রাথমিকভাবে গারকাড থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়েছিল। উপকূল থেকে জাহাজে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগত। এরপর তারা জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করে উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে আসে। অবশেষে জলদস্যুরা আবার অবস্থান পরিবর্তন করে। এটি এখন উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে।