সম্প্রতি দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন খুলনার ব্যাপক আলোচিত সেই রহিমা বেগম (৫২)। পানি আনার কথার বলে রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজের প্রায় ২৯ দিন পর ফরিদপুর থেকে জীবত উদ্ধার করা হয়েছে তাকে। সংবাদ মাধ্যমকে তার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
তবে উদ্ধারের পর রহিমা বেগম কারো কাছে যেতে চান না বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআিই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে থানা পুলিশের কাছ থেকে নেওয়ার পর থেকে তিনি মুখ বন্ধ রেখেছেন। বারবার বলছে ‘আমি কারো কাছে যেতে চাই না, কারো সাথে কথা বলতে চাই না’। আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রহিমার মেয়ে মরিয়ম মান্নান পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ করে পুলিশ সুপার বলেন, মরিয়ম মান্নান বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। কেন তিনি এ কাজ করেছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রাখতে হবে। আমরা ঘটনার সঠিক তদন্তের চেষ্টা করছি।
টক অব দ্য কান্ট্রিতে রহিমা বেগম অপহরণ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মামলার তদন্তে আমরা কোনো ভুল করতে চাই না।
আটক ছয়জনের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখব। এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছি। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হলে আদালতকে জানাবো।
এদিকে রহিমার এ ঘটনায় ফরিদপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার কাছে পুলিশ। তাদেরকেও খুব শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।