গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সময় আর্জেন্টিনার জার্চি পরিহিত এক যুবককে শটগান হাতে দেখা যায়। আর এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।
তিনি কি পুলিশেরই কেউ নাকি বহিরাগত, সেই প্রশ্ন উঠে। এরপর ওই যুবককেও খুঁজতে থাকে পুলিশ। এসব ঘটনার পর জানা যায়, আর্জেন্টিনার জার্সি পরা অবস্থায় শটগান হাতে ওই ব্যক্তির নাম মাহিদুর রহমান। তিনি রাজধানীর পল্টন থানায় দায়িত্বরত একজন আনসার সদস্য (অধিভুক্ত)।
কেন আর্জেন্টিনার জার্সি পরে নামলেন? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহিদুর রহমান বলেন, “আমি পল্টন থানায় আছি। আমাদের ওসি স্যারের নির্দেশ ছিল যে অ্যালার্ম বেজে উঠলে তিনি যে অবস্থায় থাকতেন, সেই অবস্থায় নামতে হবে। আমিও সেই অবস্থায় নামছি। আমি যেমন ছিলাম, খাচ্ছিলাম এবং কয়ারে ঘুমাচ্ছিলাম। তিনি বললেন, “ওরা ইট ছুড়ছিল, আমি গোছানোর সময় পাইনি।”
আনসার সদস্য মাহিদুর বলেন, ‘না, আমার জায়গায় আর কেউ থাকতে পারবে না।’ আমি আমার জায়গায় ছিলাম। আর কে আছে তা দেখার সময় পাইনি। আর্জেন্টিনার জার্সি পরার কারণ সম্পর্কে মাহিদুর বলেন, খেলাটা যখন বুঝেছি তখন থেকেই আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেছি।
তবে এ ঘটনায় ডিএমপি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদম মাধ্যমকে জানান, আইনের লোককে যারা ছাত্রলীগ কর্মী বলে গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের খুব শীঘ্রই পাকড়াও করা হবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়টি খুতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।