ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ও আলোচিত তারকা দম্পতি অভিনেতা শরিফুল রাজ ও অভিনেত্রী পরীমনি। পরীমণির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি।
বিয়ের পর তাদের সম্পর্কটা ঠিক যাচ্ছিল না। এর মধ্যে, তাদের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী এই দম্পতিকে একসাথে রাখার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সম্পর্কটি ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি যথেষ্ট ছিল না।
রাজের সঙ্গে সম্পর্কের যবানিকাপাত যে পরী টানতে চাচ্ছিলেন, সেটি আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। রাজ-পরীমনির পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, একটা সম্পর্ক টেকসই হওয়ার জন্য যে পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন তা তাদের মধ্যে ছিল না। সংশয় এবং প্রতিশ্রুতির অভাব লক্ষণীয় ছিল। এ কারণে মূলত তাদের বন্ধন আলগা হয়ে পড়ে।
রাজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে পরীমনি উল্লেখ করেছেন, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া, মানসিক অশান্তির কথা। ইতিএর আগে রাজ-পরী দম্পতি দফায় দফায় অভিমান ভুলে এক হলেও বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।
গত মে মাসে অভিনেত্রী সুনেরা বিনতে কামাল, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুশির সঙ্গে শরিফুল রাজের বেশ কিছু আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপর পরীমনির সঙ্গে রাজের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তারা আলাদা হয়ে যায়। তবে ছেলের জন্মদিনে একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। রাজও এসেছেন পরীমনির বাসায়। পরে আবার বেরিয়ে যান।
বিভিন্ন সময় পরীমনি অভিযোগ করে আসছেন যে, রাজ অগোছালো, সংসারের প্রতি তার কোনো প্রতিজ্ঞা নেই। পরীমনির প্রতি তার আলাদা কোনো টানও নেই। আর রাজের ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, পরীমনির জীবনটাই হেয়ালিতে ভরা।
২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর দিন ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে ১০১ টাকা দেনমোহরে শরিফুল রাজ-পরীমনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। অতিথি তালিকায় ছিলেন তিন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, চয়নিকা চৌধুরী ও রেদওয়ান রনি। সঙ্গে দুই পরিবারের আত্মীয়।