পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করেছেন। তবে মারধর ও আহতের মামলায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদার নাম শোনা যাচ্ছে। এখন এই কর্মকর্তা নিজেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেই রাতে কী হয়েছিল।
এডিসি সানজিদা বলেন, কয়েক মাস ধরে কার্ডিয়াক সমস্যায় ভুগছিলাম, ২০১৯ সাল থেকে এই সমস্যা ছিল, কিন্তু ডাক্তার দেখানোর সময় পাইনি। সেদিন অবসর সময় থাকায় আমি এডিসি হারুন স্যারকে ফোন করে ইবরাহিম কার্ডিয়াকে ডাক্তারের সিরিয়াল সাজাতে বলেছিলাম। পরে ওসিকে দিয়ে ডাক্তারের সিরিয়াল সাজান। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার পর হাসপাতালে যাই।। গিয়ে দেখি যে চিকিৎসকের ম্যানেজ করা হয়েছে তিনি কনফারেন্সে আছেন। এ বিষয় হারুন স্যারকে জানালে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন এবং একজন ডাক্তার ম্যানেজ করে দেন।
তিনি বলেন, ডাক্তার দেখিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা করতে বলেন। ইকো, ইসিজি টেস্টের পর ইটিটি রুমে যাই। সেখানে পরীক্ষা করতে আমার ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। হঠাৎ ইটিটি রুমের বাইরে হট্টগোল শুনতে পেলাম। এমন সময় আমার স্বামীর কথা শুনলাম। পরে কয়েকজন এডিসি হারুন স্যারকে মারধর করতে করতে করতে ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কিছু ছেলে ছিল। আমি তাদের কাউকে চিনি না।
তিনি আরও বলেন, যখন স্যারকে তারা মারছিলেন তখন আমি ইটিটি রুমে টেস্ট করার পোশাকে ছিলাম। স্বাভাবিক অস্থায় পোশাকটা খুব শালীন অবস্থায় ছিল না। এর মধ্যে আমার হাসবেন্ড ওই ছেলেগুলোকে বলে ওদের ভিডিও কর। একটা ছেলে যখন ভিডিও করছিল তখন আমি বুঝতে পারি তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে। তাই আমি ওই ছেলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। এ সময় আমার হাসবেন্ড আমার গায়ে বেশ কয়েকবার হাত তোলে।
এডিসি সানজিদা বলেন, যখন হারুন স্যারকে মারধর করছিলেন। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভেতরেই থেকে যান। স্যারকে বারবার বাইরে আসতে বলা হচ্ছিল। স্যার তখন বললেন আমি বের হলে আমাকে মেরে ফেলবে। পরে স্যার থানায় ফোন করার ১০-১৫ মিনিট পর ফোর্স আসে। পরে তারা নিচে নেমে যায়।
প্রসঙ্গত, সানজিদা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা।