নিউইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেন তৃতীয়বারের মতো আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে নিউইয়র্কের কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির হলে বিচারক ইউজিন এম গুয়ারিনো জামিনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দুটি যোগাযোগের মাধ্যমে বাদীকে হ/য়রানি, জবরদস্তি ও ভ/য় দেখানোর দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতে ইলিয়াস হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে নিউইয়র্কের কাছে একটি দ্বীপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ। গ্রেফতারের পর ইলিয়াসকে জ্যামাইকার একটি কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সোমবার সকালে তাকে জামিনের জন্য আদালতে হাজির করা হয়।
নিউইয়র্কের কুইন্স ফৌজদারি আদালতে, সাংবাদিক এবং ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে বাদীকে উত্তেজিত হ/য়রানি এবং জবরদস্তি, ভয় দেখানো এবং ইনজুরির ধারা দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৭ থেকে ১০ বছরের জেল হতে পারে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
সম্প্রতি মামলার বাদীর বাড়িতে হামলার হু/মকিসহ আদালত অবমাননার অভিযোগে ইলিয়াস হোসেনের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নোটিশ) জারি করে পুলিশ। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মিল্টন জ্যাকব ও প্রিমা রাব্বানীর দায়ের করা মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ছয় ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করার কথা থাকলেও হাজির হননি। নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ বিভাগ তাকে হস্তান্তরের প্রচেষ্টায় ইলিয়াসের দরজায় এবং শহরের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে “আত্মসমর্পণ” পোস্টার লাগিয়েছে।
অভিযোগ, ২০ জানুয়ারি দুপুরে ইলিয়াস মামলার বাদী মিল্টন জ্যাকবকে ফোন করে বাড়িতে বো/মা আনার হু/মকি দেন। ইলিয়াস জ্যাকব মিল্টন ও প্রিমা রাব্বানীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে ভিডিওটিকে মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে মামলা করেন মিল্টন ও প্রমা রাব্বানী। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন আদালত ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।