কথায় আছে, প্রেম-ভালোবাসার কাছে কোনো কিছুই বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে না। পৃথিবীর সকল বাঁধা পেরিয়ে একদিন ভালোবাসারই জয় হয়। আর এবার যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে তা প্রমান করে দেখালেন তুষার দাস রাজ ও সুষ্মিতা দেবনাথ অদিতি দম্পতি। দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস কারাভোগের পর অবশেষে প্রিয় মানুষটির কাছে ফিরে গেলেন তুষার।
জানা গেছে, প্রেমের টানে ব্রাহ্মণ বাবা-মায়ের ঘর ছেড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে তুষারকে বিয়ে করেছিলেন সুষ্মিতা। কিন্তু বিয়ের পর নাবালিকা মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ (নিজের স্ত্রীকে) এনে তুষারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার শাশুড়ি। এর মধ্যে তুষার ও সুষ্মিতার ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান, তবুও এই আইনি ঝামেলা তাদের সুখের সংসারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, মামলাটিতে ১৪ বছরের সাজা হয় তুষারের।
এভাবে সব শেষ হতে বসা তুষার ও সুষ্মিতার জীবনে অবশেষে স্বস্তি এলো। আজ রবিবার বিচারিক আদালতে ১৪ বছর কারাদণ্ড পাওয়া শরীয়তপুরের তুষার দাস ওরফে রাজকে খালাস করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানি শেষে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন তুষার ও সুষ্মিতার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, প্রায় বছর দুইয়েক আগেই ভালোবেসে বিয়ে শরীয়তপুরের সুষ্মিতা তুষার। এর এক বছর পরেই একটি কন্যা সন্তানের অভিভাবক হন তারা। কিন্তু তাদের এ বিয়ে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তুষারের শাশুড়ি। শাশুড়ির করা মামলায় দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস কারাভোগ করতে হয়েছে তাকে।