সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে পরিচয় থেকে প্রেম, অতঃপর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন (২২) ও কলেজশিক্ষিকা খাইরুন নাহার (৪৫)। তবে বিয়ের পর পূর্বের স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলায় প্রায় খাইরুন নাহারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতো মামুনের। আর এরই মধ্যে ঐ শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খায়রুন নাহারের চাচাতো ভাই সাবের হোসেন এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করেন।
রোববার সকালে সাবের হোসেন ঘটনাস্থল থেকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকালে ফোন আসে, আমার বোন নাকি /আ/ত্মহ/নন করেছে। খবর শুনে গুরুদাসপুর থেকে ছুটে যাই। এসে দেখি বোনের /লা/শ মে/ঝেতে পড়ে আছে। গলায় একাধিক আ/ঘা/তের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি আ/ত্মহ/নন নয়, পরিকল্পিত মা/র্ডা/র বলে মনে হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করেছে নাটোর থানার পুলিশ।
এর আগে রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর বল্লারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে কলেজ শিক্ষক খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হয় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে। আর এরপরই গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। হয়তো মানুষের কটু কথা সহ্য করতে পারছিলেন না বলেই তিনি আ/ত্মহ/নন করেছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।