বাংলাদেশের একসময়ের আলোচিত অভিনেত্রী পুর্নিমা। তার ক্যরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজুর একটি সিনেমার মাধ্যমে। তার অসাধারন অভিনয় এবং নজরকাড়া সৌণ্দর্যের কারনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলন শির্ষস্থানে এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তবে দেখা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তাকে বেশ আলোচনায় সমালোচনায় আসতে দেখা যায়।
পূর্ণিমার বিয়ের খবর ভক্তদের চমকে দিয়েছে। কারণ, তারা জানতেন স্বামী আহমেদ ফাহাদ জামাল এবং একমাত্র মেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন।
কিন্তু সংসার যে ভেঙে গেছে তা তারা বুঝতে পারেননি। কী করে বুঝবেন- বিচ্ছেদ নিয়ে দুই কথাও বলেননি নায়িকা। তিনি এতটাই গোপনে কাজটি করেছিলেন যে মিডিয়াও জানতে পারেনি।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পূর্ণিমা-ফাহাদ আলাদা পথ বেছে নেন। মতানৈক্যের কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পূর্ণিমা বলেন, আড়াই থেকে তিন বছর ফাহাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। তিনি আমার মেয়ের বাবা। মেয়েটি স্কুলে পড়ে। সর্বোপরি, আমরা এটি সম্পর্কে সবাইকে বলতে চাইনি। যাতে মেয়েটির ওপর কোনো চাপ না থাকে। কিন্তু আমার নতুন সম্পর্ক মেয়েটা ভালোই মেনে নিয়েছে। আর ফাহাদের সাথে আগে থেকেই বোঝাপড়ার সমস্যা ছিল। এ কারণে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারিনি।
গত ২৭ মে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে পূর্ণিমার বিয়ে হয়। প্রায় দুই মাস গোপন রাখার পর বিষয়টি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
জানা গেছে, রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন পূর্ণিমা-রবিন দম্পতি। চলতি বছরের শেষের দিকে তাদের বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি আবারো বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের অত্যান্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পুর্নিমা। তার বিয়ে নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় এবং তার ভক্ত অনুরাগীদের মাধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়াকে প্রথম বিয়ে করেন পূর্ণিমা। পরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের ছেলে আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো গাঁটছড়া বাঁধেন পূর্ণিমা।