অবশেষে চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক শরীয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে। সম্প্রতি দুই ব্যাংকের পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের উপস্থিতিতে তারা সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করবেন।
দেশটির ব্যাংকিং খাত বেশ কয়েক বছর ধরে বিপর্যস্ত। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মাসে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে। এতে দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে শক্তিশালী ব্যাংকের একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর পদ্মা ব্যাংকের প্রথম এক্সিম ব্যাংক অধিগ্রহণের এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা উদ্যোগ নিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পদ্মা ব্যাংক। ইতিমধ্যে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের মূলধন সরকারী ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে এবং বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।
বর্তমানে বড় গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে পারছে না পদ্মা ব্যাংক। অবশেষে তারা ইসলামিক স্টাইলের এক্সিম ব্যাংকের সাথে একীভূত হচ্ছে। ২০১৩ সালে দেশে মোট ৯টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। যার মধ্যে একটি ছিল পদ্মা (সেসময় নাম ছিল ফারমার্স)। পরে অনিয়মের কারণে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার চরম অবনতি হয়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এই দায় নিয়ে ২০১৭ সালে চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন।
এ অবস্থায় ফারমার্স ব্যাংককে মূলধন সহায়তা দিয়েছে চারটি সরকারি ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ করপোরেশন (আইসিবি)। সেই সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেন চারটি ব্যাংক ও আইসিবির সদস্যরা। ওই সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন চৌধুরী নাফিজ সরাফত।