উচ্চতায় কম হওয়ায় অনেক সময় কিছু মানুষ বিয়ে করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন এমন সংবাদ প্রায় সময় উঠে আসে। তেমনি আজীম মানসুরি নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে বিয়ে করার চেষ্টা করে আসলেও তাকে কেউ মেয়ে দিতে রাজি হচ্ছিল না। এমনকি তিনি তার বিয়ের বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এমন সংবাদও পাওয়া যায়। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে বিয়ের পাত্রী পেলেই এই যুবক।
দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের পাত্রী খুঁজছিলেন আজীম মানসুরি। এমনকি বাড়ির লোক তার বিয়ের হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন। অবশেষে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি বুশারা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে আজীমের দেখা হয়। ইতোমধ্যে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর বিয়ের পরিকল্পনা করছেন তারা।
আজীম লেখাপড়া ছেড়েছেন অনেক আগেই। কসমেটিকসের দোকান রয়েছে তার। জীবনসঙ্গী খোঁজার জন্য অনেক রকম চেষ্টাই তিনি করেছেন। ভারতের উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেছেন। এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এবং উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠিও লিখেছেন। পরিশেষে যখন কোনো সাড়া পাননি গত মাসে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। নিরুপায় হয়ে পুলিশ তাকে সাহায্য করবেন বলে আশ্বস্ত করে। তার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়। এরপর একের পর এক প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বুশারার সঙ্গে বাগদান সারেন।
বি.কমের শিক্ষার্থী বুশারার উচ্চতাও তিন ফুট। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার আজীম মানসুরির সঙ্গে বাগদান হয়েছে। বিয়ে আগামী বছর হবে। আমার বড় বোন জয়া অনেক সাহায্য করেছেন। আমি বি.কমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। বোনের জন্য পাত্র খুঁজছি। আমি ও আমার বোন একসঙ্গে বিয়ে করব। আমি খুবই খুশি।’
এদিকে, এই পাত্র-পাত্রীর ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের কে অনেকে শুভকামনা জানাচ্ছে। তারা যেন বিয়ের পর অনেক ভালো থাকেন এই কামনা করছেন সকলে। তারা দুজন পারিবারিক ভাবেই বিয়ে করবেন। এই বিয়েতে পাত্রীর পরিবারের মত রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি তাদের এই সংবাদে অসংখ্য মানুষ খুশি হয়েছে।