গত সেপ্টেম্বরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠি তজি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়কারী জন কিরবি একথা বলেন।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি।
জন কিরবিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, জ্যাক সুলিভান গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মনাম জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে কীভাবে দেখছেন? এ ছাড়া গত মাসে নয়াদিল্লিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা কি নির্বাচন ও রো/হিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন?
জবাবে তিনি বলেন, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কথা বলেন।
নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে সেলফি তোলেন বাইডেন। সে সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসও এ বিষয়ে মুখ খুলল।
এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, “বাংলাদেশীরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় এবং আমাদেরও একই চাওয়া।” আমাদের ভিসা নীতিটি মূলত বাংলাদেশি জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এটাই চায় -যা বাংলাদেশিরা চা/য়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন”। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বাংলাদেশের গণমাধ্যম আশা প্রকাশ করেছে যে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে, এটাই আমরা চাই।’