পড়াশোনার জন্য অনেকেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর। তবে দুর্ঘটনাবশত সেটা সম্পন্ন হয়নি। প্রায় আড়াই বছর বিদেশি কলেজে এডমিশন পাওয়ার পরও উপস্থিত হতে পারেনি তারা।
ক/- ভাইরাসের কারণে দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে তাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম চার্টার্ড ফ্লাইটটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বহর নিয়ে চীনের কুনমিং যায়। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
এই শিক্ষার্থীদের চীনে ফিরিয়ে নিতে আরও পাঁচটি চার্টার্ড ফ্লাইট আসবে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা ১০ এবং ২৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে আরও দুটি চার্টার্ড ফ্লাইটে কুনমিং ফিরে আসবে। এবং আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ১২ ও ২৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে গুয়াংজুতে ফিরে আসবে।
প্রায় ১,৫০০ শিক্ষার্থী ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইটে চীনে ফেরার কথা রয়েছে। প্রয়োজনে আরও ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
২০২০ সালের মার্চ মাসে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশে আসা শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছিল। তখন ক/- ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছিল গোটা বিশ্ব। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা তাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে পারেননি।
নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত আগস্টে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর ওয়াং ই ঘোষণা করেন, শিগগিরই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের চীনা ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ফের ক্যাম্পাসে যোগদান করতে পেরে খুশি প্রথম ফ্লাইট এর সকল শিক্ষার্থীরা। এখনো পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যাওয়া হয়নি নিজের ক্যাম্পাসে। তবে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছে খুব শীঘ্রই তাদেরকেও নিয়ে যাওয়া হবে প্রয়োজনে আরো ফ্লাইট বসাবেন তারা।