বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রিত গত কয়েকদিন আগেই গ্রেপ্তার হন বান্ধবী বুশরা। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার কিছুই জানেন না বলে পুলিশের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন বুশরা। কিন্তু এ ঘটনার পেছনে তার হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এদিকে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন বুশরার মা ইয়াসমিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুশরার পরিচয় হয় ফারদিন নূর পাশের সঙ্গে। তারা নিয়মিত ফোন ও মেসেঞ্জারে কথা বলত। বুশরার পরিবার তা জানত। তবে বুশরার মা ইয়াসমিন দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
বুশরার মা ফারদিনের সঙ্গে তার প্রেমের কথা খুলে বললেন
তারা একে অপরকে চার বছরের বেশি সময় ধরে চিনলেও মোবাইল ফোন নম্বর বিনিময় করেননি। তারা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করত। এমন তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ধরে উদ্ভাস কোচিং ও ডিবেটিং সোসাইটির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত থাকায় ফারদিনের সঙ্গে অনেকের যোগাযোগ ছিল বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। ফারদিন প্রায় প্রতি রাতেই মেসেঞ্জারে কারো না কারো সাথে চ্যাট করতো। তারা সব মিলিয়ে চারবার দেখা করেছে। গত ৪ নভেম্বর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেন তারা। বুশরা যতক্ষণ তার সঙ্গে ছিলেন, ফারদিন আর কারও সঙ্গে আড্ডা দেননি। বুশরাকে নামানোর পর তিনি মেসেঞ্জারে আরেক বান্ধবীকে বলেন, তিনি টিএসসিতে বুশরাকে নিয়ে একসঙ্গে গান শুনেছেন।
বুশবার মা জানান, বুশরা কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় বুশরা বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। এরপর থেকে যারা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন বা ভালো ছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছর বুশরা ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর ফারদিনের সঙ্গে তার প্রথম সরাসরি দেখা হয়। ফারদিনের সঙ্গে কথা বলে বিতর্কের অনেক কিছু জেনেছেন বুশা। একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তাদের দেখা হয় এবং পরে একটি মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুশরা বাসায় এলে ফারদিনের অনেক প্রশংসা করতেন। তার দাবি, এমন মধুর সম্পর্ক কখনোই অপরাধ হতে পারে না। আর ফারদিন ‘হ”ত্যা”র সঙ্গে তার মেয়ে বুশরা জড়িত নয়।
এর আগে নিখোঁজের গত সোমবার (৭ নভেম্বর) নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃ’ত’দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে সব তথ্য। এরপর থেকেই এ ঘটনার পেছনে জড়িতদের গ্রেপ্তারে রীতিমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।