এক সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বিনামূল্যে দেশে প্রবাসীদের মরদেহ পাঠানো হতো। কিন্তু ৩১ মে, ২০২০ তারিখে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিনা মূল্যে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার সেবা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ তিন বছর পর খরচ কমিয়ে মরদেহ দেশে পাঠাতে ভাড়া কমানোর সুখবর দিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশে একজন প্রবাসীর মরদেহ পাঠাতে আগের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম খরচ হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে কর্মজীবীদের জন্য দারুণ সুযোগ
২০২০ সালের আগে কুয়েতে মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের মরদেহ দূতাবাসের সহায়তায় সরকারি খরচে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে বহন করে। ৩১ মে, ২০২০ থেকে হঠাৎ করেই প্রবাসীদের লাশ বিনা মূল্যে দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সহায়তায় বিভিন্ন কোম্পানি ও স্পন্সরের অধীনে কর্মরত শ্রমিকদের মৃতদেহ কোম্পানির খরচে এবং অস্পন্সর শ্রমিকদের প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। আবার কুয়েতের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে নিকটাত্মীয় ছাড়া লাশ পড়ে আছে।
বিনামূল্যে না হলেও প্রবাসীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ তিন বছর পর লাশ বহনের ফি কমানোর সুখবর দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চলতি মাস থেকে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর মরদেহ পাঠাতে আগের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম খরচ হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, যাদের আয় কম বা যাদের আত্মীয়স্বজন এখানে নেই, তারা মারা গেলে মৃতকে দেশে পাঠাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এখন থেকে লাশ পরিবহনে অনেক সমস্যা কমবে।
এখন থেকে একজন প্রবাসীর লাশ ঢাকায় ১৭৫ দিনার এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটে ১৯০ দিনারে পাঠানো যাবে। বিমান ভাড়া কমায় স্বস্তি পেলেও বিনা মূল্যে মরদেহ পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
কুয়েতে বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের শ্রমিক। কুয়েতে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মৃত্যুর পর, অনেকের আত্মীয় বা পৃষ্ঠপোষকদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। অন্তত এ ধরনের প্রবাসীদের লাশ বিমানে করে মুক্ত করা হবে, এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।