অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একজন নাৎসি সৈনিককে পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে সর্বোচ্চ সম্মান দেখানোর জন্য তিনি প্রচণ্ড সমালোচিত হন। ওই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের সামনে কানাডাকে হেয় করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের স্পিকার অ্যান্থনি রোটা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ট্রুডোর পদত্যাগের জন্যও চাপ রয়েছে। যদিও কানাডার প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে হাউস অব কমন্সে দেওয়া ভাষণে ট্রুডো ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ভয়ানক ভুল হয়ে গেছে। ওই সময় সংসদে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সবার পক্ষ থেকে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সঠিক পরিচয় না জেনে ওই ব্যক্তিকে সম্মান জানানো একটি ভয়ানক ভুল। নাৎসি বর্বরতার শিকারদের স্মৃতির প্রতি অসম্মান।
আমি এর জন্য ক্ষমা চাইছি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে কানাডার পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। সেখানে ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু পরে জানা গেল ইউক্রেনীয়রা নাৎসি বাহিনীর সদস্য। তিনি SS ইউনিটের সদস্য ছিলেন,নাৎসিদের যে ইউনিটটি নিরীহ রুশ, পোল এবং ইহুদিদের হত্যার জন্য পরিচিত।
এমন ব্যক্তিকে সংসদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সর্বোচ্চ সম্মাননা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। রাশিয়া কানাডার কাছে ব্যাখ্যা চায়। ইহুদি সংগঠনগুলো ট্রুডোর কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছে। তারপরও পদত্যাগ তো দূরের কথা, ট্রুডো ক্ষমা চাইতে দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি।