গত বছরের ১৭ অক্টোবর কাউকে কিছু না জানিয়ে অনেকটা গোপনেই নিজেদের মতো করে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ। বিষয়টি প্রথমত কেউ না জানলেও একটা পর্যায়ে সবকিছু সামনে আনেন পরীমনি নিজেই। আর এর কয়েক মাস পরই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। দাম্পত্ত্য জীবন নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিল তার সময়। কিন্তু হঠাৎ করেই গত শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে রাজের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন পরীমনি।
একই দিন অন্য স্ট্যাটাসে পরী তার ওপর গায়ে হাত তোলার মতো অভিযোগও করেন স্বামী রাজের বিরুদ্ধে।
তবে এ প্রসঙ্গে রাজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার মতো আছি। চুপ করে আছি। কিছু বলতে চাই না। এই অবস্থায় আমাকে এখন একা থাকতে হবে। এসব নিয়ে পরে কথা বলবো। কেউ ভুল বুঝলে বুঝুক। তবে আমি পরিষ্কার বলি, আমি কোনো অন্যায় করিনি।
তবে তাদের বিচ্ছেদের বিষয় নিয়ে রাজ বলেন, ‘না, আর হবে না (জোড়া লাগবে না)।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির পোস্ট করা বিছানায় রক্তের ছবি ও স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বেডরুমটা ব্যক্তিগত, খুব ব্যক্তিগত। জনসাধারণের জন্য নয়। কিন্তু সবাই আমার বেডরুম নিয়ে মজা করে।
এরপর মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে রাজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন- ‘হ্যালো গডফাদারস অ্যান্ড গং। আই ওয়ান্ট টু নো ইউ গাইজ। আই লাইভ ইন ঢাকা, আই উড লাভ টু চিয়ার্স।’
এমন পোস্টে রাজ যে হুমকি পেয়েছেন বা পাচ্ছেন, তা বুঝে গেছে ভক্তকূল। তবে রাজও তাদের উল্টো উড়ো হুমকিদাতাদের সরাসরি দেখেও নিতে চেয়েছেন।
এদিকে তাদের উভয়ের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সম্পর্কে চিড় ধরেছে কয়েক মাস আগেই। সন্তান পৃথিবীতে আসার পরও কয়েক মাস ভালো ছিলেন। এরপর টুকটাক কথা-কাটাকাটি হতো। তারপর সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
এ পর্যায়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ায় দুজনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায়। দুজনের মধ্যে অবিশ্বাসও তৈরি হয়। তারা একে অপরকে সন্দেহ করতে থাকে। তারপরও সম্পর্কটা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যখন তা একেবারেই সম্ভব হচ্ছিল না, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে এই ধরনের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে আলাদা থাকাই ভালো।
তবে রাজের সঙ্গে পরীমনির বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করছেন রাজের বাবা। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে রাজের সঙ্গে পরীমনির ঝামেলা হতে পারে। কিন্তু এই ঝামেলা বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে যাবে না আশাব্যক্ত করেছেন তিনি।