এত দিন পর প্রকাশ্যে এলেন বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া। সোমবার (১৬ অক্টোবর) তাকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে দেখা যায়।
এ সময় তাকে মক্কেলের সঙ্গে বিচারপ্রার্থী হিসেবে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত মামলার কারণে তিনি সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর আজ প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি।
সম্প্রতি ১০৪ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠান। খোলা চিঠির প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতি উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পরদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে সই না করার কথা বলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ইমরান।
ওই দিন পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দপ্তরের সকল বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
এরপর ৮ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী জানান, ডিএজি এমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পরে ওই দিন স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের গেটের পাশের অভ্যর্থনা কক্ষে অবস্থান নেন এমরান। সন্ধ্যার পর পুলিশি পাহারায় বাড়ি ফেরেন তিনি। শুক্রবার রাতে ফোনে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গ্রেপ্তার হতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। পরে তার কোনো ক্ষতি হবে না বলে আশ্বস্ত করে বাড়ি ফিরে আসেন।