খুলনা থেকে নিখোঁজের প্রায় ২৯ দিনের মাথায় ফরিদপুরের এক আত্মীয়র বাসা থেকে আলোচিত সেই রহিমা বেগমকে (৫২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তিনি আসলেই অপহরণের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এরই মধ্যে মেয়ে মরিয়ম মান্নানের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর এক অভিযোগ।
জানা যায়, রহিমা বেগমের সন্ধান পেয়ে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই নম্বরে আর ফোন দিতে নিষেধ করেন বলে জানিয়েছেন এক যুবক। তার নাম জয়নাল। প্রায় ২৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জয়নাল সম্পর্কে কুদ্দুস মোল্লার ভাগ্নি হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করে হেফাজতে নেয়। তারা হলেন কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী, তার ছেলে এবং কুদ্দুস ভাইয়ের স্ত্রী।
শনিবার গভীর রাতে খুলনার দৌলতপুর থানায় ব্রিফিং করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি রহিমা বেগম ফরিদপুরে আছেন। পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের নির্দেশে আমাদের কয়েকজন দক্ষ কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
রহিমার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি জানিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রহিমা বেগম তার সব ডিজিটাল ডিভাইস বন্ধ করে রেখেছিলেন। আমরা তাকে মোটেও ট্র্যাক করতে পারিনি। তিনি যে বাড়ির দুই নারীর সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে উদ্ধার করা হলেও আমাদের অফিসাররা তাকে উদ্ধার করার পর কোনো কথার সাড়া দেননি, তারপর থেকে তিনি নির্বাক।
পুলিশ জানায়, খুলনায় রহিমাদের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকা কুদ্দুস মোল্লার ফরিদপুরের বাড়িটি দখল করা হয়। কুদ্দুস খুলনা শহরের পাটকলের শ্রমিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট পানি আনতে বাসা থেকে বের হয়ে রীতিমতো নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর মেয়ে মরিয়ম মান্নানের করা জিডির বললে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।