Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / অবশেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ফিরিয়ে দিলেন সেই সজলের চাকরি

অবশেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ফিরিয়ে দিলেন সেই সজলের চাকরি

Dàrkwàlkér Snahmoy
বর্তমান একটা চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। চাকরি অনেকটা সোনার হরিণের মতো হয়ে গেছে। সৈ চাকরি পরীক্ষায় পাশ করে যদি নিজের জমি না থাকার কারণে চাকরি হবে না এমনটা শোনা যায় তাহলে কেমন লাগে ব্যাপারটা! সম্প্রতি এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা শোনা যাচ্ছে। তবে এবার ভিন্ন আরেকটি খবর শোনা গেল বরগুনাতে। আলোচিত সজল জমি না থাকার কারণে চাকরি হারাচ্ছিল পুলিশ কনস্টেবল পদে। তবে এবার পুলিশ সুপার জানালো জমি না থাকার কারণে তার চাকরি থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।

পরিবার ভূমিহীন হওয়ায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল সাধারণ পদে উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি হওয়ার অনিশ্চয়তায় ছিলেন সজল চন্দ্র কর্মকার। অবশেষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ফিরিয়ে দিলেন তার চাকরি।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।

চাকরি প্রার্থী সজল বলেন, চাকরি ফিরে পেয়েছেন এমন খবরে তিনি পুলিশ বিভাগের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক স্যারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আনন্দিত ও গর্বিত।

সজলের বাবা অমল কর্মকার বলেন, পুলিশ কনস্টবলে আমার ছেলের চাকরি হচ্ছে জেনে আমি আজ গর্বিত ও আনন্দিত। আমি পুলিশ বিভাগকে সাধুবাদ জানাই; সঙ্গে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক স্যারকেও আমি ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, গত ১৯৯২ সাল থেকে আমি ও আমার পরিবার বরগুনায় বসবাস করছি। আমার ছেলে ও মেয়ের এই বরগুনায় জন্ম। তাছাড়া পটুয়াখালী জেলার লাউকাঠি গ্রামে আমার বাবার নামে যে পৈতৃক ভিটে রয়েছে, তবে সেখানে আমার নামে আধা শতাংশ পরিমাণ জমি থাকতে পারে। আমার নামে কোথাও কোনো জমি নেই। পুলিশি তদন্তের সময় আমরা সেটা জানিয়েছি। শুধু জমি না থাকার কারণে আমার ছেলেটার চাকরি হচ্ছে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন আসপিয়ার মতো আমার ছেলেটার দিকেও তাকায়।

এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক যুগান্তরকে নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে নিশ্চিত করেছেন তার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে। বিধি মোতাবেক এখন তার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।

চাকরির কথা শুনে সজল এবং তার পরিবারের লোক খুবই খুশি সেই সাথে পুলিশের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। আসলে এমনটা হবে তারা কেউ ভাবতেও পারেনি। পুলিশ সুপারের এমন পদক্ষেপ যেন খুলে দিল একটি অসহায় পরিবারের ভাগ্য। উক্ত ঘটনার পর থেকে বরগুনার ওই পুলিশ সুপার সকলের কাছেই অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *