ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ধলচরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরনিজমের যেখানে বঙ্গোপসাগরের মোহনা মিলিত হয়েছে, সেখানে পাওয়া বার্জটির পরিচয় পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠার কারণে ‘আল কুবতান’ নামক যে বার্জটির পরিচয় মিলেছে, সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে সাগরে ভেসে যায়। এই বার্জটি খুব বেশী বড় নয়, এটি একটি ছোট আকারের জলযান। এটা বন্দর থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী নিয়ে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন করে থাকে।
বার্জটি পাহারা দিচ্ছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের চরমানিকা কোস্টগার্ডের সদস্যরা। শনিবার (১৬ জুলাই) জাহাজটি মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া অফিসার লে. শাফিউল কিঞ্জল ও চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান।
কোস্টগার্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের চলমান কাজের জন্য বার্জটি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছিল। পথে বৈরী আবহাওয়ায় কারণে সাগরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটি।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কেএম শাফিউল কিঞ্জল জানান, শুক্রবার বিকেলে কোস্টগার্ড সদস্যরা বার্জের মালিক ও কাগজপত্র তল্লাশি করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্জটি একটি ভেকু, একটি স্টোন ক্রাশার এবং ১৩,০০০ মেট্রিক টন পাথর বহন করেছিল। বার্জটি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের চরমানিকা কোস্টগার্ডের সদস্যরা পাহারায় রেখেছে। বিষয়টি ভোলা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চরনিজাম এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ‘আল কুবতান’ নামের একটি বার্জ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি স্থানীয় ধলচর ইউপি চেয়ারম্যান ও চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে তারা বার্জটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেন।
স্থানীয়রা জানান, নাবিক ও ক্রু ছাড়া জাহাজের উপরের অংশ খোলা রয়েছে। বার্জটিতে পাথর বোঝাই ছিল। এতে একটি ভাকু মেশিন, স্টোন ক্রাশার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিল।
জানা গেছে, বার্জটি মনুষ্যবিহীন হওয়ায় সেটি যে সময় চরে আটকে যায়, সেই সময় স্থানীয়রা জাহাজটিতে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। বার্জটিতে পাথরবোঝাই ছাড়াও বেশ কিছু মূল্যবান যন্ত্রাংশ ছিল, যেগুলো আর পরবর্তীতে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ছোট ট্রলার বা অন্য নৈযানে করে এসে কিছু মানুষ সেগুলো নিয়ে যায়।