বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে পশ্চিমাদের কারণে জাতিসংঘ পক্ষপাত করছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে গত ২৮ অক্টোবর সংস্থাটির একাধিক বিবৃতিতে।বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থার সদর দফতরে চিঠি দিয়ে জাতিসংঘকে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পরে গণমাধ্যমে আসাটা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো চিঠি জাতিসংঘ এখনো দেখেনি। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সংস্থার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশি এক সাংবাদিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ তথ্য জানান।ডুজারিক বলেন আমি চিঠিটি দেখিনি। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে আমি ইতিমধ্যে যা বলেছি তা আবারও বলছি।
আরেক সাংবাদিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক’ পাঠানোর বিষয়ে জানতে চান। এ সময় তিনি বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক’ পাঠাবে না।
গত ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে আন্তোনিও গুতেরেসের কার্যালয়ে চিঠিটি পাঠানো হয়। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ক্রুসেডার। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, খাবার ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে তিনি অনেক কষ্ট করছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু একই সঙ্গে প্রতিবাদের নামে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি পু/ড়িয়ে মা/রা এবং মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মা/রাও তিনি বরদাস্ত করবেন না, যা বিরোধীরা প্রতিনিয়ত করে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশ আশাবাদী যে জাতিসংঘ এবং এর সকল অঙ্গ ও সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল ভবিষ্যত নির্মাণে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।