তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া মুরাদ হাসান গত বৃহস্পতিবার দেশ ছেড়ে কানাডার উদ্দেশ্যে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে উড়াল দেন। মুরাদ হাসান ঐ দিন রাত ১১টা ২০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে যাওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাইটটি রাত ১ টার কিছু সময় পরে ছেড়ে যায় বলে জানা যায়। তার গন্তব্য ছিল কানাডার টরন্টো। এর আগে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছান। তবে তিনি দুবাই হয়ে কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। তিনি কানাডায় প্রবেশ করতে না পেরে তিনি দেশে ফিরে আসছেন বলে জানা যায়।
কানাডা ও দুবাইয়ে ঢুকতে না পেরে শেষমেশ রোববার বিকেলেই দেশে ফিরছেন সদ্যবিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। দুবাই থেকে ৪ ঘণ্টা ২১ মিনিটের যাত্রা শেষে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। অবতরণের নির্ধারিত সময় এদিন বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট হলেও ৫টা ৭ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছাবে।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ডা. মুরাদ দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ( ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশে আসেননি।
নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
পরে বাংলাদেশে নারীদের হয়রা’নি, অপমানজনক ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে কথা বলার কারণে তাকে ইমিগ্রেশন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদ এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন মুরাদ হাসান। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে আগে থেকে ভিসা না নেয়ায় তাকে দুবাইয়ও ঢুকতে দেয়নি দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন বর্তমান সময়ে আলোচনায় থাকা ডা. মুরাদ হাসান। গত কয়েকদিন ধরে তিনি তার অশালীন মন্তব্যের জন্য স্পটলাইটে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ঘৃ’ণ্য ও অশালীন মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া ফাঁ’স হওয়া ফোনালাপে এক অভিনেত্রীকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দিতে শোনা গেছে। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে বলেন। পরদিন তিনি পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
খবর ডেইলি বাংলাদেশের।