সবাই ট্রাক ড্রাইভার। বাসা, বাড়ি ও দোকানের মালামাল পরিবহন করেন। একই সঙ্গে তারা চোরও। দেশের বিভিন্ন এলাকায় যান। টার্গেটটা রেকি করেন এবং সুবিধামতো জায়গায় চুরি করেন। রাজধানীর মানিকদী এলাকায় ৩০ কিলোমিটার সড়কের দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন এই চক্রের তিন সদস্য। জানা গেছে, শুধু চুরি নয়, হ”ত্যা’ ও ”ধ”র্ষ’ণের’ ‘মা”ম”লা”ও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
২৭ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকার মানিকদী এলাকার একটি দোকান থেকে ১৪ লাখ টাকার সিগারেট চুরি হয়। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে।
চুরি হওয়া দোকান থেকে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিভিআরে রেকর্ড করা হচ্ছিল, তা নিয়ে যায় চোরেরা। এ অবস্থায় মামলার ছায়া তদন্ত করতে গিয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরার সহায়তা নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। একটি মিনি ট্রাকের সন্দেহজনক গতিবিধি অনুসরণ করা শুরু হয়।
কালশী ফ্লাইওভার থেকে খিলক্ষেত, কুড়িল ফ্লাইওভার, মেরুল বাড্ডা হয়ে মেরাদিয়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এবং কাঁচপুর ব্রিজ থেকে বিসিক শিল্প নগর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ ধরে পুলিশ মিনি ট্রাকটিকে অনুসরণ করে।
দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিনি ট্রাক থেকে সিগারেট নামিয়ে রিকশায় করে পরিবহন করা হয়। পুলিশ এ রিকশাওয়ালাকে খুঁজে বের করে এবং তার দেয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মিনি এ ট্রাকের গন্তব্য খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত চোরাই সিগারেট বহন করা রিকশাচালক, যে দোকানে বিক্রি করা হয় ওই দোকানদার এবং মোবাইল ট্র্যাক করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, জেলা থেকে জেলায় পণ্য পরিবহনের পর ফেরার পথে তারা চুরি করে। শুধু চুরি নয়, তাদের বিরুদ্ধে’ ”হ”ত্যা” ও ‘ধ”র্ষ’ণে’র মা”মলাও রয়েছে।