বাংলাদেশে কৃষি প্রধান দেশ। এবং এই দেশের প্রধান খাদ্যে তালিকায় রয়েছে ভাত। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি পর পর কয়েক ধাপে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের পর্যপ্ত মজুদ থাকা স্বত্তেও সরকার দাম বৃদ্ধি লাগাম টানতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই বিষয়ে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
সরকার চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছেন খোদ কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। সোমবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা শস্য জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেটিও এ বছর চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে সরকারি গুদামে চালের সর্বোচ্চ মজুদ থাকলেও দাম আকাশচুম্বী। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। জেনে খুশি হবেন এই মুহূর্তে খাদ্য গুদামে খাদ্যশস্যের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা হু/ম/কি/র মুখে পড়েছে। কৃষি প্রযুক্তি টেকসই নয়। মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য তিনি কৃষি প্রযুক্তিবিদদের নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, শিগগিরই চালের দাম স্থিতিশীল হবে। এ সময় ডা. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ টন খাদ্য মজুদ রয়েছে, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে ওএমএস শুরু হবে। এপ্রিলে বাজারে আসবে নতুন চাল। ফলে শিগগিরই চালের দাম স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক হবে।
একই দিন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের মজুদ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকা কেজি দরে। যদিও সরকারিভাবে এই চালের আমদানি খরচ ৩৬-৩৭ টাকা। পঁচে যাওয়ার মতো চাল গোডাউনে নেই। সঞ্চিত চাল মানসম্পন্ন, তাই মানুষ তা খাবে। বাজারে চালের দাম কমছে না। মিলগেট, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়তে থাকে। প্রতি কেজি চালের পাইকারি ও খুচরা দামের পার্থক্য প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ভোক্তা পাতলা ও মাঝারি মানের চাল খান। বোরো মৌসুমে এ ধান উৎপাদিত হয়। গত বোরো মৌসুমের চালের মজুদ প্রায় শেষ। ফলে সরবরাহ কম। আবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। এই অতিরিক্ত পরিবহন খরচ চালের দামে প্রভাব ফেলেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ কিছু নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বেহসি বিপাকে পড়েছে দেশের খেঁটে খাওয়া দিনমজুররা। তবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চলমনা সংকটময় পরিস্টিতি মোকাবিলায় নিরলস ভাবে কজা করে যাচ্ছে। এবং সকল ধরনের নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম ক্রেতার হাতের নাগালে রাখতে গ্রহন করেছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ।