একদিনের ব্যবধানে বগুড়ায় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে নতুন জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে।
রোববার বগুড়ার রাজাবাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। সেই পেঁয়াজ সোমবার বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে।
এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি থাকলেও বিপাকে পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
গতকাল যারা ১৫০ টাকায় বিক্রির জন্য পেঁয়াজ কিনেছিলেন তাদের আজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা
কমে। তারা বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে বগুড়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আকস্মিকভাবে পুরাতন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা বেড়েছে ৫০ টাকা। নতুন জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে।
শনিবার শহরের রাজাবাজার, রেল লাইনের ওপর বাজার, ফতেহ আলী বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজ পাইকারি-খুচরা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি। পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ছিল ১৪০ টাকা। রোববার পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি বেশি দামে বিক্রি হলেও সোমবার হঠাৎ করেই দাম কমে আগের মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক, মিজানুর জানান, রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আজ সরবরাহ বেড়েছে তাই কমেছে। এভাবেই কাঁচামালের দাম ওঠানামা করে। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গতকাল চড়া দামে কেনা পেঁয়াজ আজ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। মাসুদ পারভেজ, কবির আহমেদ, শফিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে সবাই উপকৃত হবে।
বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও দেশীয় পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে।