সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে উত্তেজনা। তারি মাঝে আলোচনার শীর্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম কে মোবাইল ফোনে চাঁদা চাওয়ার ঘটনা। চাঁদা চাওয়ার সময় পরিচয় দেওয়া হয় ডিজিএফআই-এর। তবে অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে ধরা পরল সেই চাঁদা চাওয়ার চক্রের মূল আসামি। জানা গেছে এর সাথে জড়িত ছিল আরো দুইজন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর নামে তৈমূরের মোবাইলে দুই দফায় ফোন দিয়ে এই চাঁদা দাবি করা হয়।
চাঁদা দাবি করা ব্যক্তির নাম চিত্তরঞ্জন দাস ওরফে মো. সুমন মিয়া। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। এর আগে, মেয়র প্রার্থী তৈমূর বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, মো. সুমন মিয়াকে ঢাকার উত্তর আদাবর বড়াবাড়ি থেকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত ডিজিএফআই এর নামে চাঁদাবাজি করে অর্থ উপার্জনের জন্যই একাজ করেছেন তিনি। এর সঙ্গে জড়িত আরো দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
চিত্তরঞ্জন দাস ওরফে সুমন মিয়া কুমিল্লার হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত রগুন চন্দ্র দাসের ছেলে। ১৩ বছর আগে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করের। এর আগে তিনি নিজ এলাকায় সেলুনে কাজ করতেন। পরে ঢাকায় এসে গার্মেন্ট থেকে ঝুট নামানোর কাজ করার পাশাপাশি প্রতারণার কাজেও লিপ্ত হয়ে পড়েন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে সেপর্দের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এমন ঘটনা আসলেই বিরল যেখানে ক্যান্ডিডেট অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম এর মতো একজন নেতা। তাইত বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা লাগলো না ধরা পড়ে গেল আসামি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাকে আগামীকাল আদালতে চালান করা হবে। এখন দেখার বিষয় আদালত তাকে কি সাজা দেয়, আর বাকি দুজনকে কবে ধরতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ পুলিশ।