হঠাৎ করে দেশের পরিবহন সেক্টরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মূলত ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধি করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার প্রতি লিটার ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম। এই নিয়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে সর্বত্র। এবার এই দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন ড. কামাল হোসেন।
অবিলম্বে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানান তিনি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, গত ৫ই নভেম্বর থেকে সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘট চলছে। যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে যাত্রীভাড়া, পণ্য পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে বাজারে সর্বক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে। এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে সাধারণ জনগণকে।
তিনি বলেন, এমনিতেই বাজারে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, এলপি গ্যাসসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য প্রতিদিন বেড়েই চলছে। বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বরং অশুভ সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে আঁতাত।অনির্বাচিত সরকার বলেই জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কিংবা বাজারের অগ্রিম মূল্য থেকে জনগণকে রক্ষায় কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
দেশ জুড়ে পরিবহন মালিকদের চলছে ধর্মঘট। তারা ডিজেল এবং কেরোসিন তেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে। এবং দাম না কমালো ভাড়া বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে পরিবহন মালিকরা। এবং তারা ২৩ শতাংশ হারে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত উপনীত হয়নি।