দেশে হঠাৎ করে জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ।হঠাৎ করে ৫০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বেশ উদ্বিগ্ন মানুষ। তবে এর কারন হিসেবে সরকার বলছে বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারনে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভোক্তাদের সুসংবাদ দিয়েছেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমতে থাকলে দেশে সমন্বয় করা হবে। এটা নিয়ে আমি আশাবাদী।
রোববার (১৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা : অস্থির বিশ্ববাজার’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি কঠিনভাবে। মূল্য সমন্বয় কিন্তু খুব বেশি দিন হয়নি। আমি সবাইকে বলব এক-দুইটা মাস আপনারা অন্তত ধৈর্য ধরুন। একটু সহনীয় হউন। আমরা আশাবাদী, তেলের মূল্য যদি কমতি আরম্ভ করে অবশ্যই এটাকে আমরা একটা ভালো সমন্বয় করে নিচে নিয়ে আসতে পারব, এটা নিয়ে আমি আশাবাদী।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আমরা আশাবাদী আগামী মাসে লোডশেডিংও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বারবার বলে আসছি, এ সংকট সাময়িক। আমরা যে পরিমাণ গ্যাস আমদানি করি, তা খুবই সামান্য। কিন্তু দাম বেড়ে গেছে অতিরিক্ত। তাহলে আমরা কি এখন পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেবো?
নসরুল হামিদ বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা মোটামুটি ভালো আছি। ৪-৫ মাস আগে তো ভালোই ছিলাম। আমরা কি তখন ক্রাইসিসে পড়েছিলাম? আমরা কি জানতাম যে, ৫ ডলারের গ্যাস ৪৭ ডলার হয়ে যাবে। বিশ্বের সব দেশই যে খুব ভালো আছে, তা না।
বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন, হুটহাট কথা বলেন। এখন চ্যালেঞ্জের সময় আসছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় না। এখন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সময়। এখন কী করতে হবে, সেটা নিয়ে কথা বলুন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৫০ শতাংশ বেড়েছে যা রিতিমত অস্বাভাবিক। জ্বালানী তেল পেট্রোল এর দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩০ এবং অকটেনের দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩৫,