গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের দিনেই জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য। আর এ নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। পদত্যাগ করলে সংসদ অচল হয়ে যাবে, এমনটা ভাবাও বোকামো বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাশীল দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
এদিকে ঘোষণার পর গতকাল রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তবে দুই সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। রোববার বেলা ১১টার পর সংসদ ভবনে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনে মোঃ মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
তবে অসুস্থতার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন রুমিন ফারহানা। সাতজনই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে হাজির না হওয়ায় হারুন অর রশিদ ও আবদুস সাত্তারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তারা এসে পরে জমা দেবেন।
সংবিধানের 67(2) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, স্পিকার বলেছেন, বাকি দুজনকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে দাখিল করতে হবে। তারা এলে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। বাকি ৫ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৯ দিনে বিএনপির ১ হাজারেরও অধিক নেতাকর্মীকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। তাদের দ্রুত মুক্তির দাবিও জানান তারা।