দাম্পত্য কলহের জের ধরে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই দ্বিতীয় বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি প্রকাশে আসতেই রীতিমতো বেশ আলোচনায় আসেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। যিনি ভক্তদের মাঝে ঢালিউড ‘কিং খান’ নামেও বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
ছয় বছর আগে শাকিব খানের প্রেমে পড়েছিলেন বুবলী। সে সময় বুবলী ফেসবুকে ‘ফ্যামিলি টাইম’ ক্যাপশন দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে শাকিব খান মাঝখানে এবং বুবলীর পরিবারের সদস্যদের আশেপাশে দেখা যাচ্ছে।
এরপর নানা ঘটনার জন্ম হয়। শাকিব-অপু-বুবলীকে নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হতে থাকে। পরে ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে একটি টিভি লাইভে আসেন অপু বিশ্বাস। হয় ডিভোর্সও। পরে শাকিবের সঙ্গে বুবলির প্রেমের কথা বহুবার ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছেন অপু। যদিও সরাসরি কিছু বলেননি এই নায়িকা।
ছয় বছর পর সবকিছু পরিষ্কার। প্রকাশ্যে এসেছে শাকিব-বুবলীর প্রেম, বিয়ে ও সন্তানের কথা। তারা নিজেরাই বিষয়টি সামনে এনেছেন।
সম্পর্কের ছয় বছর, বুবলী যখন শাকিব খানের সন্তানের মা, তখন তিনি নিজের ভাষায় তাদের সম্পর্কের সময়কাল এবং কীভাবে তারা প্রেমে পড়েছিলেন তা বলেছিলেন।
বুবলী বলেন, ‘বসগিরি’র আগে আমরা প্রিয়ারে নামের আরেকটি ছবির কথা বলছিলাম। ফলে শুটিংয়ের আগেও তার সঙ্গে কিছুটা পরিচিতি ছিল। তা ছাড়া ছবিটি নিয়ে প্রথমবার শাকিব খানকে দেখলাম। ‘বসগিরি’ ছবির শুটিং শেষের দিকে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরপর একটা সময় বিয়ে। তারপর সন্তান।
শাকিব-বুবলীও গোপনে প্রেম ও বিয়ে করেছেন ৬ বছর। এ সময় জানতে চাইলে তিনি নানাভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সবকিছু খুব গোপন ছিল। কিন্তু শিশুটি বের হয়ে এলে বুবলী বলেন, দেখুন, আমি কিন্তু সন্তানের বিষয়টি গোপন করিনি। যদি গোপনই রাখতে চাইতাম, তাহলে তাকে পেটে নিয়ে শুটিংয়ে যেতাম না। বাবু যখন আমার পেটে এসেছে, তখন থেকেই আমার কাজের সেক্টরের সবাই এ ব্যাপারে কমবেশি জানতেন। এটি ওপেন সিক্রেট ছিল। আপনরা নিশ্চয়ই বীরের শুটিংয়ের সময় আমার গর্ভাবস্থা লক্ষ্য করেছেন। তা ছাড়া আমাদের দুজনের পরিবার, কাছের মানুষ—সবাই জানত। তাই এটা গোপন নয়।
এক সাক্ষাৎকারে বুবলী জানান, তাদের সন্তানের নাম জেহজাদ খান রেখেছেন শাকিব খান। সন্তান হওয়ার পর বুবলীকে নামের তালিকা দিয়েছেন শাকিব। সেই তালিকায় প্রথম নাম ছিল শেহজাদ খান। আরবীতে এই নামের অর্থ রাজার পুত্র। সেই তালিকায় প্রথম নামটিই পছন্দ সাকিবের। তবে বীর নামটি বুবলী ও তার মা রেখেছেন।
তবে বিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠতেই বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সত্যতা জানালেন বুবলী নিজেই।
বুবলী জানান, প্রায় প্রতিদিনই তিনি বীরের বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলি। দেখ হয় এবং আমাদের বিচ্ছেদের খবর পুরোটাই মিথ্যা।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেবি বাম্পের দুটি ছবি শেয়ার করেন বুবলী। এরপর থেকেই মূলত শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।।