গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির এক শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও বিএনপি’র শতাধিক নেতাকর্মীদেরও আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে ঠিক কি কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ এ বিষয়ে অনেক নেতাকর্মী ওয়াকিবহাল নয়। অবশেষে জানা গেল কারণ।
এদিকে তাদের গ্রেফতারের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তাদের গ্রে’প্তারের কথা জানান।
হারুন সাংবাদিকদের বলেন, পল্টন থানার মামলায় তাদের গ্রে”ফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা পুলিশের ওপর বর্ব”/রোচিত হামলার উস”কানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও পথপ্রদর্শক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা তা পেয়েছি।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যেতে কেউ নেতৃত্ব না দিতে পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এমন কাজ করেছে। এদিকে জামিন আবেদন করলেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসের জামিন দেয়নি আদালত। তাদের গ্রেপ্তার করা সত্ত্বেও রাজধানী ঢাকার গোলাপবাগে সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করেন নেতাকর্মীরা।