পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর থেকে প্রথম ছয় ঘণ্টায় ১৫,২০০ যানবাহন সেতুটি অতিক্রম করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা।
রোববার বিকেলে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন এ তথ্য জানান। সেতু বিভাগ জানায়, পদ্মা সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষায় ব্যবহারকারীদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিমি, পদ্মা সেতুতে যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকা এবং গাড়ি থেকে নামা এবং ছবি তোলা সেতুর ওপর দিয়ে হাঁটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সেতু বিভাগ আরও জানিয়েছে, পদ্মা সেতুতে এমনকি পায়ে হেঁটেও থ্রি-হুইলার বা সাইকেল ব্যবহার করা যাবে না। আজ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ফেরিঘাটের দুঃস্বপ্ন ছেড়ে সেতু পার হয়ে মাত্র ৬ মিনিটে সড়কপথে সরাসরি ঢাকায় চলে যাবে।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের শুরুতেই দেখা গেছে দূরদূরান্ত থেকে বিপুল সংখক মানুষের ভিড়। অনেকে শুধু মাত্র সেতু ভ্রমনের জন্যই টোল দিয়ে সেতুতে প্রবেশ করছে। অনেককে শত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্যের সেতুর উপর নেমে ছবি তুলছে। যার জন্য প্রথম কয়েক দিন বাড়তি যানবাহন এখানে বেশি চলচল করবে বলে ধারনা করছে বিশেষাজ্ঞরা।